ছোট্ট রিহান
সন্তানের জন্ম দিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন মা সঙ্গীতা। জন্মের পর থেকেই যেন সংগ্রাম চালাচ্ছে ছোট্ট রিহান। জন্ম থেকেই তার ঠোঁট ফাটা। ফলে কঠিন হয়ে পড়েছিল স্তন্যপান। তবে রিহানের যত্নে কোনও ত্রুটি রাখেনি তার পরিবার। সবটাই ঠিক চলছিল। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থাও অবনতি হচ্ছে রিহানের। রিহানের পেট ফুলে উঠেছে। চোখ হয়ে গিয়েছে হলুদ। অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটেছেন মা।
যখন রিহানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন চিকিৎসকেরা বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করেন। জানা যায় যে রিহান প্রগ্রেসিভ ফ্যামিলিয়াল ইন্ট্রাহেপাটিক কোলেস্টেসিসে ভুগছেন।
চিকিৎসকেরা জানান যে, রিহানের লিভার পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তার অবস্থা এতটাই গুরুতর যে চিকিৎসকরা অবিলম্বে রিহানের লিভার প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন।
সঙ্গীতা ও শুভ্রদীপের কোলে ছোট্ট রিহান
অনেক খোঁজাখুঁজির পরে একজন দাতার খোঁজ পেয়েছে রিহানের পরিবার। কিন্তু বাঁধ সেধেছে অপারেশনের খরচ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজন ২০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যেই বহু সমস্যার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে রিহানের পরিবার। তার উপরে লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য এই বিশাল অঙ্কের খরচ শুনে মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে।
সঙ্গীতা ও তাঁর স্বামী শুভ্রদীপ দুজনেই আংশিক প্রতিবন্ধী। সঙ্গীতার একটি পা অন্যটির চেয়ে ছোট। তাঁর পক্ষে হাঁটতে অসুবিধা হয়। অন্যদিকে, শুভ্রদীপ শ্রবণ প্রতিবন্ধী। বছরের পর বছর চেষ্টার পর, সঙ্গীতার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিল রিহান। কিন্তু এখন সে তার জীবনের জন্য লড়াই করছে।
মায়ের সঙ্গে ছোট্ট রিহান
সব বাবা-মায়েরাই স্বপ্ন দেখেন যে তাঁরা নিজের সন্তানকে বড় করবেন। যে সন্তান বড় হয়ে নাম উজ্জ্বল করবে। রিহানকে পৃথিবীতে আনার জন্য তাঁরা তাঁদের সব কিছু ছেড়ে দিয়েছেন। অথচ, এখন তাদের কিছুই অবশিষ্ট নেই।
সম্প্রতি চিকিৎসকেরা সতর্ক করেছেন যে রিহানের অবস্থা গুরুতর। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিস্থাপন না করতে পারলে, কিছু করার থাকবে না। সঙ্গীতা ও শুভ্রদীপ কাতর কণ্ঠে আর্জি জানিয়েছেন এই লড়াইয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। তাঁদের পরিবারের এই প্রচেষ্টা বৃথা যেতে দেবেন না। ছোট্ট রিহানকে এই লড়াইয়ে জিততেই হবে। সাহায্য করতে পারেন আপনারাই। রিহানের পরিবারকে এই কঠিন সময় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করুন।
এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন। কেটো-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।