বম্বে হাই কোর্টে জামিন মঞ্জুর হল শিক্ষাবিদ আনন্দ তেলতুম্বডের। — ফাইল ছবি।
অবশেষে জামিন পেলেন শিক্ষাবিদ আনন্দ তেলতুম্বডে। তাঁকে এলগার পরিষদ মামলায় গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। জামিন পেলেও এখনই জেল থেকে বেরোতে পারছেন না আনন্দ। এনআইএর আবেদন মেনে জামিনের নির্দেশ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত রেখেছে হাই কোর্ট।
২০১৮-র ১ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁওয়ে দলিত ও উচ্চবর্ণের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তাতে এক দলিত যুবকের মৃত্যু হয়। দলিতদের উপর হামলার অভিযোগে হিন্দুত্ববাদী দুই নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। এই মামলাতেই একে একে গ্রেফতার করা হয় সুধীর ধাওয়ালে, সোমা সেন, সুধা ভরদ্বাজ, গৌতম নওলখা, অরুণ পেরেরা, রোনা উইলসন, আনন্দ তেলতুম্বডে, ভারাভারা রাও, হানি বাবু, ভার্নন গঞ্জালভেস, সুরেন্দ্র গ্যাডলিংয়ের মতো ব্যক্তিত্বকে। ‘আরবান নকশাল’ তকমা দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে সিপিআই (মাওবাদী)-র সঙ্গে যোগাযোগ, ভীমা-কোরেগাঁওয়ে হিংসা ছড়ানো ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে হত্যার চক্রান্তের অভিযোগ আনা হয়। আনা হয় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ। জুড়ে দেওয়া হয় ইউএপিএ-র মতো ভয়ঙ্কর আইনে আনা মামলা, যাতে ধৃতেরা চটজলদি জামিন না পেতে পারেন।
শুক্রবার, বম্বে হাই কোর্টে বিচারপতি এএস গডকড়ী ও বিচারপতি এমএন যাদবের ডিভিশন বেঞ্চ ১ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে আনন্দের জামিন মঞ্জুর করে। তাঁকে ২০২০-এর এপ্রিলে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার পর থেকে নবি মুম্বইয়ের তালোজা জেলই ছিল ৭৩ বছরের শিক্ষাবিদের ঠিকানা। বিশেষ আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর আনন্দ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানেই শুক্রবার জামিন পেলেন তিনি। যদিও এখনই জেল থেকে বেরোতে পারবেন না আনন্দ। তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ রায় কার্যকরের আগে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে। আদালত তা মঞ্জুরও করেছে। এই সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে এনআইএ।
এ নিয়ে ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় কবি ভারাভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজের পর তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে আনন্দ জামিন পেলেন।