-ফাইল চিত্র।
এফআইআরে দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারা তথা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ যোগ করার প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ জানাল বম্বে হাইকোর্ট। সামাজিক মাধ্যমে প্ররোচনামূলক পোস্ট দেওয়ার জন্য কঙ্গনা রানাউত ও তাঁর বোন রঙ্গোলি চন্দেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার শুনানি হয় হাইকোর্টে। মামলাটি বাতিল করার আর্জি রেখেছিলেন দুই বোন।
বিচারপতি এস এস শিন্ডের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করলেও জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না। সমনকে মর্যাদা দিয়ে আগামী ৮ জানুয়ারি তাঁদের মুম্বই পুলিশের কাছে হাজির হতে বলা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চটির অন্য সদস্য হলেন বিচারপতি এম এস মালিক।
‘সাম্প্রদায়িক টুইট’ করার জন্য কঙ্গনা-রঙ্গোলির বিরুদ্ধে অন্যান্য ধারার পাশাপাশি ১২৪এ-তে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগও এনেছে বান্দ্রা পুলিশ। এতেই বিস্ময় প্রকাশ করে বেঞ্চের প্রশ্ন, “কেউ যদি সরকারের সঙ্গে সুর না-মেলান, সেটা রাষ্ট্রদ্রোহ?”
মুম্বই পুলিশের তরফে মামলাটি লড়ছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট রিজ়ওয়ান মার্চেন্ট। তাঁর উদ্দেশে বেঞ্চের প্রশ্ন, “অন্যান্য যে ধারাগুলি রাখা হয়েছে, সেগুলির যৌক্তিকতা বুঝতে পারছি। কিন্তু ১২৪এ? দেশের নাগরিকদের প্রতি এই আচরণ?”
আরও পড়ুন: দেশে রোগী কমলেও মৃত্যু বাড়ছে দিল্লিতে
এরই সরকার পক্ষের আইনজীবী দীপক ঠাকরকে বেঞ্চ বলে, “পুলিশ কেন এই ধরনের মামলাতেও ১২৪এ ধারা দিচ্ছে? কোন মামলায় কোন ধারা দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে পুলিশকর্মীদের সজাগ করতে যথাযথ কর্মশালার আয়োজন করা উচিত।”
তবে ওই এফআইআর বাতিল ও পুলিশের কাছে হাজিরা থেকে রেহাই পাওয়ার যে আর্জি কঙ্গনারা রেখেছিলেন তা খারিজ করেছে হাইকোর্ট। বেঞ্চের বক্তব্য, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, পুরো বিষয়টি শোনার আগে পর্যন্ত আবেদনকারীদের অন্তর্বর্তী সুরক্ষা দেওয়া যেতে পারে। পুলিশ তার আগে গ্রেফতার করতে পারবে না। বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন বলে হাজিরা থেকে ছাড় চেয়েছিলেন কঙ্গনারা। বেঞ্চ জানিয়েছে, “যে কাজই থাক পুলিশের সমনকে মর্যাদা দিতেই হবে।”
আরও পড়ুন: হাফিজ়ের ‘শাস্তি’কে পাত্তা দিচ্ছে না দিল্লি
কঙ্গনা জানান, তিনি ও তাঁর বোন ৮ জানুয়ারি মুম্বই পুলিশের কাছে গিয়ে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করাবেন। মুম্বই পুলিশের আইনজীবী রিজ়ওয়ানের প্রশ্ন, ‘‘পুলিশকে কেন জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?”