প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পর পর টানা সাত দিন। রবিবারেও বোমাতঙ্ক ছড়াল বেশ কয়েকটি অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানে। জানা গিয়েছে, ইন্ডিগোর ছ’টি বিমানে হুমকিবার্তা পাঠানো হয়। পর পর এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। যদিও হুমকিবার্তা পাওয়ার পরই নিরাপত্তা নিয়ে যাত্রীদের আশ্বস্ত করেছে বিমান সংস্থা।
বিবৃতি জারি করে ইন্ডিগো জানিয়েছে, তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যাত্রী এবং তাদের কর্মীদের নিরাপত্তা। তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য যাত্রীদের কাছে আর্জিও জানানো হয়েছে বিমান সংস্থার তরফে। যে ছ’টি বিমানে রবিবার বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে সেগুলি হল—
জেড্ডা থেকে মুম্বইগামী ৬ই ৫৮, কোঝিকোড় থেকে দাম্মামগামী ৬ই ৮৭, দিল্লি থেকে ইস্তানবুলগামী ৬ই ১১, মুম্বই থেকে ইস্তানবুলগামী ৬ই ১৭, পুণে থেকে জোধপুরগামী ৬ই ১৩৩ এবং গোয়া থেকে আমদাবাদগামী ৬ই ১১২।
গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থাগুলিতে হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে। ছ’দিনে বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, আকাসা এয়ারলাইন্সের একের পর এক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানে। তার মধ্যে ৩০টি বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে শুধু শনিবারেই। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, যে আইপি অ্যাড্রেসগুলি ব্যবহার করে বোমার হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি চিহ্নিত করা হয়েছে।
একের পর এক বিমানে হুমকিবার্তা আসার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। শনিবার বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে বসল অসামরিক বিমান নিরাপত্তা সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিয়োরিটি (বিসিএএস)। সূত্রের খবর, হুমকিবার্তা কী ভাবে রোখা যায়, শুধু তা-ই নয়, হুমকিবার্তা পাওয়ার পর কী কী পদক্ষেপ করা উচিত এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়েও আলোচনাও হয়।