(বাঁ দিকে) অভিযুক্ত জিম প্রশিক্ষক। (ডান দিকে) নিহত মহিলা। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশের কানপুরের জেলাশাসকের বাংলোর কাছ থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। চার মাস ধরে নিখোঁজ থাকার পর শনিবার জেলাশাসকের বাংলোর কাছে একটি ফাঁকা জায়গা থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আর এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ উঠেছে এক জিম প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই সেই জিম প্রশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৪ জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন মহিলা। তিনি কানপুরেরই এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী। অভিযুক্ত জিম প্রশিক্ষকের নাম বিমল সোনি। শহরের গ্রিন পার্ক এলাকায় জিম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে তাঁর। জিম প্রশিক্ষকের সঙ্গে মহিলার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রশিক্ষকের বিয়ে স্থির হওয়ায় মহিলা খুবই বিচলিত ছিলেন। অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁদের দু’জনের মধ্যে একটা টানাপড়েন শুরু হয়।
তার পর থেকেই জিম প্রশিক্ষণে যাওয়া বন্ধ করে দেন মহিলা। প্রায় ২০ দিন পর ২৪ জুন আবার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যান তিনি। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে যান। গাড়িতেই তাঁদের দু’জনের মধ্যে বিয়ের বিষয়টি নিয়ে আবার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। অভিযোগ, সেই সময় জিম প্রশিক্ষক মহিলার ঘাড়ে জোরে আঘাত করেন হাত দিয়ে। সেই আঘাতে মহিলা জ্ঞান হারান। তার পর তাঁকে খুন করেন প্রশিক্ষক। দেহ লোপাট করার জন্য গাড়িতে করেই মহিলাকে নিয়ে যান একটি ফাঁকা জায়গায়। ঘটনাচক্রে, যেখানে মহিলাকে পুঁতে দিয়েছিলেন, তার কয়েক হাত দূরেই জেলাশাসকের বাংলো।
উত্তর কানপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শ্রবণ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, মহিলার নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছিল ঠিকই, কিন্তু কোনও সূত্র পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষমেশ জিম প্রশিক্ষকের হদিস পায় পুলিশ। প্রথমে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর জিম প্রশিক্ষক খুনের বিষয়টি স্বীকার করেন। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।