নিখোঁজ শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয় স্যুটকেসের ভিতর থেকে। প্রতীকী ছবি।
শিশুকন্যার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না দু’দিন ধরে। পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে পুলিশ, কেউই তাকে খুঁজে পাননি। অবশেষে দু’দিন পর প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার করা হল।
ঘটনাটি গ্রেটার নয়ডার সূরজপুর এলাকার। রবিবার সেখানেই নিখোঁজ শিশুর প্রতিবেশীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। একটি স্যুটকেসের মধ্যে থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়।
শিশুর পরিবারের তরফে গত ৭ এপ্রিল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। তার বাবা স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন। তিনি কারখানায় যাওয়ার পর, শিশুটির মা বাজারে গিয়েছিলেন। বাড়িতে তাঁদের দুই সন্তান একাই ছিল। ফিরে এসে মহিলা দেখেন দু’বছরের কন্যা উধাও। আশপাশে মেয়ের জন্য খোঁজ করেন তিনি। কিন্তু কোথাও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এর পর তিনি পুলিশের সাহায্য চান। নিখোঁজ ডায়েরি করলে থানা থেকেও তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু শিশুটিকে খুঁজে পায়নি পুলিশও।
রবিবার, শিশুকন্যা নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর, পাশের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান দম্পতি। তাঁদের সন্দেহ হয়। যদিও বাড়িটি তালাবন্ধ ছিল। শিশুর পরিবার পুলিশে খবর দিলে তারা এসে দরজা ভেঙে বাড়িতে তল্লাশি চালায়। একটি স্যুটকেসের মধ্যে থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত প্রতিবেশী পলাতক।
অভিযোগ, শিশুটি হারিয়ে যাওয়ার পর তার বাবা এবং মায়ের সঙ্গে তল্লাশিতে হাত লাগিয়েছিলেন পাশের বাড়ির ওই যুবকও। তাঁর নাম রঘুবেন্দ্র। কখন যে তিনি বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন, কেউ তা খেয়াল করেননি। ইতিমধ্যে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে তার মৃত্যু হল, খুনের আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।