—প্রতীকী চিত্র।
পুরীতে কিশোরীর দেহ উদ্ধার। একটি পরিত্যক্ত ব্যাগের ভিতর ওই কিশোরীর দেহ ভরে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ব্যাগটি রাস্তার ধারে ফেলে রেখে গিয়েছিলেন দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়েরা তা দেখে পুলিশে খবর দেন।
পুরীর কানস এলাকায় দয়া নদীর ধারে দুষ্কৃতীরা মৃতদেহ-সহ ব্যাগটি ফেলে রেখে গিয়েছিলেন। বুধবার তা উদ্ধার করে পুরী পুলিশ। কিশোরীর হাত এবং পা দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। তবে তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
কিশোরীর পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। নিকটবর্তী থানা এবং অন্য জেলাতেও খবর পাঠানো হয়েছে। কোথাও কোনও নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিচয় জানা গেলে তদন্ত অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।
কিশোরীকে কেউ বা কারা খুন করেছেন। তাঁরা খুনের পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করেছিলেন। তবে খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যে একে ‘রেড ফ্ল্যাগ’ ক্যাটাগরিভুক্ত করা হয়েছে। পুরীর এসপি বিশাল সিংহ জানিয়েছেন, কিশোরীকে শনাক্ত করাই এখন তাঁদের কাছে অগ্রাধিকার। এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে কিশোরীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফিও করা হবে।