জঙ্গলে একটি গাছ থেকে গলায় তার পেঁচানো অবস্থায় বাঘের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশে। পান্না ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে ওই বাঘের দেহ উদ্ধার হয়। আর এই ঘটনার পরই ডেপুটি ফরেস্ট রেঞ্জার এবং এক জন বিট গার্ডকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায় জড়িত দুই মূল অভিযুক্তকে।
ছত্তরপুরের সার্কল কনজ়ারভেটর সঞ্জীব ঝা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, দুই অভিযুক্তকে দু’সপ্তাহের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। সপ্তাহের গোড়ার দিকে তিলুগা বিটের কাছে একটি গাছ থেকে বাঘের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়।
ঝা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পর দেখা গিয়েছে যে, অন্য প্রাণীর জন্য পেতে রাখা ফাঁদে লাগানো তারে জড়িয়ে যায় বাঘটি। সেই অবস্থায় গাছে ওঠার চেষ্টা করেছিল সেটি। কিন্তু পিছলে যেতেই সেই তার গলায় ফাঁসের মতো আটকে যায়। আর তাতেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ২০০ কেজি ওজনের বাঘটির।
মধ্যপ্রদেশে ছ’টি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি হল, কানহা, বান্ধবগড়, পেঞ্চ, সাতপুরা, পান্না এবং সঞ্জয় দুবরি। জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের (এনটিসিএ) তথ্য বলছে, মধ্যপ্রদেশে ২০১২ থেকে ২০২২-এর জুলাইয়ের মধ্যে ২৭০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। শুধু মাত্র ২০২১ সালেই ৪২টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। ২০২২ সালে মৃত্যু হয়েছে ৩২টি বাঘের।