—প্রতীকী চিত্র।
রাজস্থানের কোটায় ফের এক পড়ুয়ার মৃত্যু। ২১ বছর বয়সি ওই ছাত্র ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘নিট’-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বুধবার মেসবাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ওই পড়ুয়া। বিগত কয়েক বছরে কোটায় একের পর এক ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুধুমাত্র চলতি বছরেই কোটায় এই নিয়ে ১৩টি এমন ঘটনা ঘটেছে।
মৃত ওই পড়ুয়ার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের মথুরায়। নিট পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য মাত্র এক সপ্তাহ আগেই কোটায় এসেছিলেন ওই পড়ুয়া। শহরের একটি মেসবাড়িতে থাকছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মেসবাড়ির মালিকই বুধবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান। কোটার জওহর নগর থানার সাব ইনস্পেক্টর গোপাল লাল জানিয়েছে, বাড়ির মালিক একাধিক বার ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়া না পেয়ে পুলিশের কাছে খবর দেন। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল ঘরের বাইরে। ওই পড়ুয়া তখন জামাকাপড় শুকোচ্ছিলেন।
বাড়ির মালিকের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায় এবং দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় পড়ুয়ার দেহ। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। খবর দেওয়া হয়েছে পড়ুয়ার বাড়িতেও। পরিবারের সদস্যরা কোটায় পৌঁছলে দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। তবে কী কারণে আত্মহত্যা, সে উত্তর এখনও অধরা।
উল্লেখ্য, কোটায় পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা রুখতে পুলিশ ও পুর প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। গত বছরে কোটার সব হস্টেল ও মেসের সিলিং ফ্যানে ‘অ্যান্টি সুইসাইড ডিভাইস’ বসানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর পরেও একের পর এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েই চলছে কোটায়।