আশ্রমের এক কর্মী পুলিশের কাছে দাবি করেন, গাড়ির ভিতর থেকে পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন। কিসের গন্ধ, তা খতিয়ে দেখতে গিয়েই এক কিশোরীর দেহ চোখে পড়ে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজস্থানের জোধপুরের নিজের আশ্রমে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত চার বছর ধরে জেলে বন্দি স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু। আবারও শিরোনামে উঠে এল আসারামের আশ্রম। তবে এ বার ঘটনাস্থল জোধপুর নয়, উত্তরপ্রদেশের গোন্ডার নগর কোতোয়ালি এলাকা।
আসারামের উত্তরপ্রদেশের আশ্রম থেকে এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বছর ১৩-র ওই কিশোরী গত ৫ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিল। শুক্রবার সকালে আশ্রমের ভিতরে অনেক দিন ধরে পড়ে থাকা একটি গাড়ির ভিতর থেকে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়।
আশ্রমের এক কর্মী পুলিশের কাছে দাবি করেন, গাড়ির ভিতর থেকে পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন। কিসের গন্ধ, তা খতিয়ে দেখতে গিয়েই এক কিশোরীর দেহ চোখে পড়ে। তার পরই তিনি পুলিশে খবর দেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আশ্রমেরই এক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
২০১৩-য় এক কিশোরীকে জোধপুর আশ্রমে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আসারামের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় ২০১৮-য় জোধপুরের বিশেষ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। আদালত তাঁকে যাবজীজবন কারাদণ্ড দিয়েছে।