Pakistan

১১ পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার রাজস্থানে

একটি খামার বাড়ি ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই কৌতূহলী মানুষের ভিড়।

Advertisement

জোধপুর

সংবাদ সংস্থা  শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২০ ০৪:৫২
Share:

ঘটনাস্থলে পুলিশ আধিকারিকরা। ছবি: পিটিআই।

কুঁড়েঘরের ভিতরে সারি সারি মৃতদেহ। কীটনাশকের তীব্র গন্ধ। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। পুলিশের দাবি, একই পরিবারের এই ১১ জন বিষক্রিয়ায় মারা গিয়েছেন। সম্ভবত কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী গোটা পরিবার।

Advertisement

ঘটনাটি রাজস্থানের জোধপুর শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের দেহাতি গ্রাম ডেচুর। একটি খামার বাড়ি ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই কৌতূহলী মানুষের ভিড়। ডেচু থানার পুলিশ অফিসার হনুমান রাম জানান, ১২ জনের পরিবারটি ২০১৫ সালে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে শরণার্থী হয়ে এসেছিল। সকলেই ভিল সম্প্রদায়ের মানুষ। কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পদ্ধতি শুরু হয়েছিল। পরিবারের এক জন কেবল রাম (৩৫) শনিবার রাতে ফসল পাহারা দেওয়ার জন্য বাইরে শোয়ায় প্রাণে বেঁচেছেন। সম্পর্কে জামাই হলেও তিনি ওই ভিল পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন। সকালে তিনি ঘরে এসে দেখেন সবাই মৃত। রাম পুলিশকে জানান— কী ভাবে কী হল, সেই সম্পর্কে তাঁর ধারণা নেই।

ঘরোয়া কোঁদলে কোণঠাসা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে এই মৃত্যুর ঘটনায় বিঁধেছে বিরোধী বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতের মন্তব্য, ‘‘প্রায় এক ডজন মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী। কী ভাবে সরকার চলছে, তা দেখিয়ে দিল এই বেদনাদায়ক ঘটনা।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘তিনি’ যে ও ঘরে কে তা জানত! সব রিপোর্ট নেগেটিভ, হাঁফ ছাড়ল বঙ্গ বিজেপি

আরও পড়ুন: আইসোলেশনেও আফসোস নেই, শতাধিক প্রাণ বাঁচিয়ে বলছেন মান্নান-আফজলরা

হনুমান রাম জানান, সকালে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। বিছানায় একের পর এক দেহগুলি পড়ে ছিল। মৃতদের মধ্যে চার জন পুরুষ, তিন জন মহিলা এবং চারটি শিশু। ঘরের মধ্যে রাসায়নিক কীটনাশকের তীব্র গন্ধ থেকে তাঁর ধারণা— সবাই জেনেশুনেই তা খেয়েছেন। পাকিস্তান থেকে পরিবারটি বাস্তুচ্যুত হয়ে এসে প্রথমে শরণার্থী শিবিরে থাকত। মাস ছয়েক আগে ওই খামার লিজ নিয়ে চাষবাস ও দেখভালের জন্য ওই কুঁড়েঘরে উঠে আসে তারা। জোধপুর জেলার পুলিশ সুপার রাহুল ভরত জানিয়েছেন, কারও দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। বল প্রয়োগের প্রমাণও মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement