বরোদার হ্রদে পড়ুয়াদের খোঁজে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: এক্স।
পিকনিকে গিয়েছিল স্কুলের পড়ুয়ারা। চেপেছিল নৌকায়। নৌকা উল্টে সলিলসমাধি ১২ পড়ুয়ার। মারা গিয়েছেন দু’জন শিক্ষকও। গুজরাতের বরোদায় হার্নি লেকে এই কাণ্ড হয়েছে। কোনও পড়ুয়ার গায়েই লাইফ জ্যাকেট ছিল না।
পড়ুয়ারা বরোদার একটি বেসরকারি স্কুল ‘নিউ সানরাইজ’-এ পড়াশোনা করে। স্কুলের তরফেই তাদের পিকনিকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বেড়াতে গিয়ে বিপত্তি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি নৌকায় ২৭ জন চেপেছিল। সেটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকলবাহিনী। উদ্ধারকাজ শুরু করে। তাদের পৌঁছনোর আগেই হ্রদে ঝাঁপ দিয়ে কয়েক জন পড়ুয়াকে উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী একের পর এক দেহ উদ্ধার করেছে। বাকিদের জল থেকে তুলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল এক্স (সাবেক টুইটারে) শোক প্রকাশ করেছেন। মৃতদের আত্মার শান্তিকামনা করেছেন তিনি। তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রী কুবের দিনদোর বলেন, ‘‘নৌকা উল্টে ছ’জন স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। উদ্ধারকাজ চলছে।’’ বরোদার জেলাশাসক এবি গোর জানিয়েছেন, নৌকায় ২৭ জন ছিলেন। বিরোধী রাজনীতিকদের দাবি, ওই নৌকায় ১৫ জন চাপতে পারেন। সেখানে ২৭ জন পড়ুয়াকে তোলা হয়েছিল। কেন এ রকম করা হল, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।