বিএমস সদস্যদের একটি জমায়েত-ফাইল চিত্র
কেন্দ্রের তৈরি করা সর্বশেষ (চতুর্থ) খসড়া সামাজিক সুরক্ষা বিধিতেও তাদের সায় নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমএস)। নিজেদের এই আপত্তির কথা কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রককে লিখিত ভাবে জানিয়েও দিয়েছে সংঘ পরিবারের কর্মী সংগঠনটি।
কী কী কারণে এই খসড়া বিধি তাদের মনে ধরেনি, তা সংবাদমাধ্যমকে পাঠানো বিবৃতিতে খোলসা করেছে বিএমএস। তাদের অভিযোগ, সেখানে শ্রমিক সংগঠনের তোলা অধিকাংশ দাবিই মানা হয়নি। বন্দোবস্ত নেই শ্রমিক স্বার্থ রক্ষারও। যেমন, খসড়া দেখে তাদের মনে হয়েছে যে, ইএসআইয়ের সুবিধা ছাঁটাইয়ের রাস্তা খোলা রাখা হয়েছে। প্রস্তাব রয়েছে ইপিএফের পেনশনের বদলে ন্যাশনাল পেনশন প্রকল্পে কর্মীদের শামিল করার কথা। প্রথমটি বেশি সুরক্ষিত এবং সুবিধাজনক হওয়ায় গোড়া থেকেই যার বিরোধিতা করছে তারা। এ ছাড়া, যে ভাবে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘এমপ্লয়িজ’, ‘ওয়ার্কার্স’ এবং ‘ওয়েজ ওয়ার্কার্স’ (কর্মী, শ্রমিক এবং ঠিকা শ্রমিক)— এই তিন স্তরে ফারাক করা হয়েছে, তা-ও তারা মানতে রাজি নয় বলে বিএমএসের দাবি।
কর্মী সংগঠনটির দাবি, প্রথম দফার খসড়ায় কথা ছিল, সামাজিক সুরক্ষা বিধি হবে এমন, যাতে একেবারে শেষ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রমিকও ১৪টি সুবিধা এক ছাতার তলায় পান। তা নিশ্চিত করার জন্য তৈরি কমিটির মাথায় থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেকের কাছে সেই সমস্ত সুবিধা পৌঁছে দিতে তৎপর হবেন ‘সুরক্ষা মিত্র’রা। কিন্তু তার বদলে চতুর্থ খসড়ায় যা রয়েছে, তা আসলে পুরনো সুবিধাগুলিকেই জোড়াতালি দিয়ে এক জায়গায় আনা বলে তাদের অভিযোগ। এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অন্তত পাঁচ বছর কাজ করলে গ্র্যাচুইটি মেলে। এখন ৮০% কর্মীই ঠিকায় কাজ করায়, তা কমিয়ে এক বছর করার দাবিও ফের তুলেছে তারা।