Indus Waters Treaty

রক্ত ও জল একসঙ্গে বইতে পারে না, হুঁশিয়ারি মোদীর

ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত কয়েক দিন ধরেই পাকিস্তানের প্রতি একের পর এক বার্তা দিচ্ছেন। এর মধ্যেই সোমবার সিন্ধু-চুক্তি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলোচনা শেষে বললেন, ‘‘রক্ত এবং জল একসঙ্গে বইতে পারে না।’’ তাঁর এই মন্তব্যের পরেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি সিন্ধু-চুক্তি নিয়ে কড়া মনোভাব দেখাতে চলেছে ভারত?

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:৩৭
Share:

নরেন্দ্র মোদী। সোমবার দিল্লিতে পিটিআই-এর তোলা ছবি।

ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত কয়েক দিন ধরেই পাকিস্তানের প্রতি একের পর এক বার্তা দিচ্ছেন। এর মধ্যেই সোমবার সিন্ধু-চুক্তি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলোচনা শেষে বললেন, ‘‘রক্ত এবং জল একসঙ্গে বইতে পারে না।’’ তাঁর এই মন্তব্যের পরেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি সিন্ধু-চুক্তি নিয়ে কড়া মনোভাব দেখাতে চলেছে ভারত? দীর্ঘ দিনের চুক্তি ভেঙে তবে কি সিন্ধুর বেশির ভাগ জল পাকিস্তানকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না? সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, তেমনটাই ভাবনাচিন্তায় রয়েছে।

Advertisement

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদের নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্করও ছিলেন। সেখানে প্রায় ৫৬ বছর আগের সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকেই মোদী মন্তব্য করেন, ‘রক্ত এবং জল একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না!’ ১৯৬০ সালের ওই চুক্তি অনুযায়ী ভারতের পশ্চিম দিকের তিনটি নদীর জল এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান ব্যবহার করে। ওই নদীগুলি হল সিন্ধু, চেনাব এবং বিতস্তা (ঝিলম)। আর অপেক্ষাকৃত পূর্ব দিকের তিন নদী বিপাশা, রবি ও শতদ্রুর জল ব্যবহার করে ভারত। কিন্তু, উরি-কাণ্ডের পরে পরিস্থিতি পাল্টেছে। সূত্রের খবর, এ বার ওই ছয় নদীর জলের বেশির ভাগটাই ভারত ব্যবহার করতে চাইছে। পূর্ব দিকের নদীগুলি ভারতের কৃষি অঞ্চলের চাহিদা মেটাতে পারছে না। তাই বাকি তিন নদীর জলের বেশির ভাগটাই ব্যবহার করার যুক্তি দেওয়া হয়েছে।

ভারতের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাক প্রেসিডেন্ট জেনারেল আয়ুব খানের মধ্যে ওই চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী সিন্ধুর মাত্র ২০ শতাংশ জল ভারত ব্যবহার করতে পারে। এ বার বাকি জলের বেশির ভাগটা ব্যবহার করে জম্মু-কাশ্মীরের সেচ এলাকায় নিতে চায় ভারত। ওই জলে প্রায় ছয় লাখ হেক্টর এলাকাকে সেচের আওতায় আনা যাবে।

Advertisement

যদিও একটা অংশের মতে, সিন্ধুর জল আটকে দিলে জম্মু-কাশ্মীর এবং পঞ্জাবের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়বে। তবে, সরকারের যুক্তি, তা যাতে না হয় সে জন্য তিনটি বৃহত্ বাঁধ গড়ে তোলা হবে সিন্ধুর বুকে।

আরও পড়ুন- ‘আমাদের সেনা বেশি কথা বলে না, বীরত্বেই জবাব দেয়’

আরও পড়ুন- কলকাতা এ বার নতুন সাজে আনন্দ উৎসবে

আরও পড়ুন- ঘামের সঙ্গে খিচুড়ির কিন্তু একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement