—প্রতীকী চিত্র।
এক দৃষ্টিহীন মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে আর এক দৃষ্টিহীন যুবককে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।
ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে। নির্যাতিতার স্বামী বছর তিনেক আগে মারা গিয়েছেন। আট বছরের মেয়েকে নিয়ে দিল্লিতে একাই থাকতেন বছর বত্রিশের ওই মহিলা। আদালতে নিজের বয়ানে তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর যথাযথ তদন্তের জন্য একজন ভাল আইনজীবীর সন্ধান করছিলেন তিনি। সেই সূত্রেই ২০১৪-এ এক বন্ধুর মারফত সৌরভ কপূর নামে এক দৃষ্টিহীন যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। এর পর ২০১৫ সালের মে মাসে আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার নাম করে ওই মহিলাকে গুরুগ্রামের একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়ে সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করে সৌরভ। এর পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় সে। ওই মহিলার দাবি, এর পর নানা অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে দফায় দফায় টাকা নেয় যুবক। পাচ মাস ধরে চলে লাগাতার যৌন নির্যাতন। এর পর হঠাৎ একদিন সৌরভ জানায়, সে আর এই সম্পর্ক রাখতে চায় না। দিশেহারা হয়ে দিল্লির দৃষ্টিহীনদের একটি সংগঠনের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। সংগঠনের পক্ষ থেকে ফতেমা কবীর নামে এক আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। গত বছরের নভেম্বরে এই আইনজীবীর সাহায্যে দিল্লির মেনওয়ালি নগর পশ্চিম থানায় সৌরভ কাপুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয় সৌরভকে। পরে জামিনে মুক্তি পায় সে।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার প্রাক্তন জাতীয় কুস্তিগীর
এই মামলার সরকারি আইনজীবী অরবিন্দ শর্মা জানিয়েছেন, অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্ত দু’ জনেই দৃষ্টিহীন। তাই এই মামলায় অপরাধ প্রমাণ করাটা বেশ কঠিন ছিল। তবে মোবাইলের কল ডিটেল্স ও লোকেশন থেকে নির্যাতিতা যে সত্যি কথাই বলেছেন, তা নিশ্চিত হয়। এর পর আদালত কক্ষে বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন অভিযুক্তর গলার আওয়াজ শুনে তাঁকে চিহ্নিত করে ফেলেন ওই মহিলা। নির্যাতিতার বয়ান ও অন্যন্য তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই সৌরভ কপূরকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। আগামী ২৪ জুলাই অপরাধীর সাজা ঘোষণা করা হবে।