coronavirus

করোনার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ সংক্রমণ

আমদাবাদে সংক্রমিত ৬৭ জন। মহারাষ্ট্রে সেই সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলে ২০০, কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। দিল্লির কয়েকজনের শরীরে মিলেছে সংক্রমণ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২১ ২০:৪৮
Share:

চলছে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা। ছবি: পিটিআই

করোনা-আক্রান্তদের শরীরে ঘটছে এক প্রকার ছত্রাকের সংক্রমণ। পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘মিউকোরমাইকোসিস’। ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ সংক্রমণ নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। মূলত গুজরাত, দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সংবাদ সংস্থার খবর অনুসারে এখনও পর্যন্ত আমদবাদের বিজে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এই রোগে সংক্রমিত ৬৭ জনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। শেষ ২০ দিনের মধ্যে এই সংক্রমণ ঘটেছে। এদের মধ্যে ৪৫ জনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দৈনিক ৬-৭টি অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে তাঁদের।

Advertisement

মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। আক্রান্ত ২০০ জনের চিকিৎসা চলছে বলে দাবি করেছে একটি সংবাদ সংস্থা। দিল্লির একটি প্রথম সারির হাসপাতালের চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন, করোনার সঙ্গে এই সংক্রমণ জুড়ে যাওয়ায় নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

দিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসক মণীশ মুনজত জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালে শেষ দু’দিনে ৬ জন মিউকোরমাইকোসিস নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের দ্রুত ওজন কমছে, দৃষ্টিশক্তি চলে যাচ্ছে, নাক ও থুতনির হাড়ের ক্ষতি হচ্ছে।’’ একই হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ অজয় স্বরূপের মতে, ডায়াবিটিসে আক্রান্ত যে করোনা রোগীদের স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের শরীরে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে এমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া এই দাবির সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘করোনার কারণে মানব শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসছে। সেই কারণেই নানা রকম ফাঙ্গাল ও ব্যাক্টেরিয়াল সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদের শরীরে এই সংক্রমণ ঘটনার সম্ভাবনা আরও বেশি। তার উপর টানা স্টেরয়েড শরীরে প্রবেশ করার ফলে আরও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সেই কারণেই এই ধরনের ফাঙ্গাল সংক্রমণ তৈরি হচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement