তখন মধ্যরাত, সমর্থকদের নিয়ে গণনাকেন্দ্রের বাইরে প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার। ছবি: টুইটার।
মধ্যরাতের কর্নাটকে মহানাটক! ১৬ ভোটে কংগ্রেসকে হারালেন বিজেপি প্রার্থী। আর তা নিয়ে রাতভর চললো চাপান-উতোর। বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্যের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ কংগ্রেসের। পাল্টা প্রদেশ সভাপতি শিবকুমারের বিরুদ্ধে কাজে বাধাদানের অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট বলছে, কংগ্রেস প্রার্থী সৌম্যা রেড্ডি পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৮১টি ভোট এবং বিজেপির সিকে রামামূর্তি পেয়েছেন তার চেয়ে ১৬টি ভোট বেশি, অর্থাৎ ৫৭ হাজার ৭৯৭ ভোট। এই কেন্দ্রের গণনা নিয়ে রাতে ধুন্ধুমার বাধল বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে।
সূত্রের খবর, গণনা শেষে কংগ্রেস প্রার্থীকে ১৬০ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিজেপি তাতে আপত্তি জানিয়ে পুনর্গণনার দাবি জানায়। ‘দ্য হিন্দু’ সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বেঙ্গালুরু দক্ষিণের বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য এবং পদ্মনাভনগরের বিজেপি বিধায়ক আর অশোক দাবি করেন, প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে ১৭৭টি পোস্টাল ব্যালটের ভোট বাতিল করা যাবে না।
‘টাইমস নাও’ সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে দাবি, গণনাকেন্দ্রে হাজির জেলার নির্বাচনী আধিকারিক তুষার গিরি বাতিল পোস্টাল ভোটগুলি গণনার নির্দেশ দেন। তখন দেখা যায়, ১৬ ভোটে জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী। অর্থাৎ প্রাথমিক ভাবে বাতিল হওয়া ১৭৭টি পোস্টাল ভোট গণনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ১৬০ ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা বিজেপি প্রার্থী ১৬ ভোটে জয় পান।
এ দিকে পুনর্গণনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি গণনাকেন্দ্রে পৌঁছন কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শিবকুমার। কংগ্রেস প্রার্থী সৌম্যা প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি রামালিঙ্গা রেড্ডির কন্যা। রামালিঙ্গাও হাজির ছিলেন শিবকুমারের পাশে। সৌম্যার হারের খবর পেয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন শিবকুমার। তিনি বলেন, ‘‘পুনর্গণনার দোহাই দিয়ে যে ভাবে বিজেপি প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে অনৈতিক ভাবে জয় পেল, তার চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে!’’ পাশাপাশি গণনাকেন্দ্রের ভিতরে বিজেপি সাংসদ তেজস্বী এবং বিধায়ক অশোক কী করছিলেন, তা-ও জানতে চেয়েছেন প্রদেশ সভাপতি। তাঁর দাবি, তেজস্বী বা অশোক— কেউই প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট নন। তা হলে তাঁদের ঢুকতে দিল কে?
গভীর রাতে সৌম্যাকে কাঁদতে কাঁদতে গণনাকেন্দ্র ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায়। বিজেপি শিবিরে তখন উৎসব।