উত্তরপ্রদেশের পুরভোটে বিজেপিকে জয় এনে দিলেন যোগী আদিত্যনাথ। — ফাইল চিত্র।
কর্নাটকে বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের দিন বিজেপির হাতে ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’ উত্তরপ্রদেশের পুরভোট। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের ৭৫টি জেলার ১৭টি নগরনিগম, ১৯৯টি নগরপালিকা এবং ৫৪৪টি নগর পঞ্চায়েতের অধিকাংশ আসন দখল করেছে পদ্মশিবির। পাশাপাশি উপনির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির থেকে ২টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
১৭টি নগরনিগমের সবক’টিই গিয়েছে বিজেপির দখলে। রাজধানী লখনউ, বিচারবিভাগীয় সদর প্রয়াগরাজ, বাণিজ্যিক রাজধানী কানপুর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী, যোগীর শহর গোরক্ষপুর, রামমন্দিরের শহর অযোধ্যা রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে, সহারনপুর, আগরা, মোরাদাবাদ, ফিরোজাবাদ, মথুরা, ঝাঁসি, মিরাট, গাজিয়াবাদ, বরেলী, শাহজহানপুর এবং আলিগড়। ১৭টি নগরনিগমের মেয়রপদের পাশাপাশি ১,৪০১টি ওয়ার্ডের কর্পোরটর পদের ৫০ শতাংশের বেশি গিয়েছে বিজেপির দখলে।
তবে নগরপালিকার ৫,২৬০টি এবং নগর পঞ্চায়েতের ৭,১০৪টি ওয়ার্ডের অনেকগুলিতেই বিজেপির সঙ্গে কড়া টক্কর হয়েছে বিরোধীদের। ভোটের ফল বলছে, এখনও সে রাজ্যে বিজেপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টি। তবে গত বছরের বিধানসভা ভোটে মাত্র ২টি আসনে জেতা বিএসপি তুলনায় অনেক ভাল ফল করেছে। অনেক আসনেই বিজেপির মূল লড়াই হচ্ছে মায়াবতীর দলের সঙ্গে।
ভোটের ফল বলছে, ১৯৯টি নগরপালিকার মধ্যে বিজেপি ৮৮, সমাজবাদী পার্টি ৩৪, বিএসপি ২১ কংগ্রেস ৬ এবং নির্দল ও অন্যেরা ৪৯টিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। ভোটের প্রবণতা অনুযায়ী ৫৪৪টি নগর পঞ্চায়েতের মধ্যে ২০৫টিতেই নির্দলেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ! অন্য দিকে, বিজেপি ২০১, সমাজবাদী পার্টি ৮৫, বিএসপি ৪০ এবং ৯টিতে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে পুরভোটে বিপুল জয়ের জন্য গোড়া থেকেই সক্রিয় ছিল পদ্মশিবির। বিজেপি নেত্রী মুপূর একাধিক গোষ্ঠীহিংসার পরে বিশেষ সম্প্রদায়ের অভিযুক্তদের বাড়িতে বুলডোজ়ার চালানো থেকে প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের খুন পর্যন্ত একের পর এক বিতর্কের আবহে এই পুরভোট ঘিরে উত্তেজনাও ছিল তীব্র। তবে শেষ পর্যন্ত বড় অশান্তি ছাড়াই ৪ এবং ১১ মে দু’দফায় সাঙ্গ হয় ভোটগ্রহণ।
অন্য দিকে, বিজেপির সহযোগী আপনা দল (সোনেলাল) শনিবার উত্তরপ্রদেশের দু’টি বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে। এর মধ্যে রামপুরের সুয়ার আসনটি সমাজবাদী পার্টির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। ওই কেন্দ্রে ২০২২ সালের ভোটে জয়ী হয়েছিলেন প্রভাবশালী সমাজবাদী নেতা আজম খানের ছেলে আবদুল্লা। তিনি ফৌজদারি মামলায় জেলের সাজা পাওয়ায় কেন্দ্রটি খালি হয়। দলীয় বিধায়কের মৃত্যুতে খালি হওয়া মির্জাপুরের ছান্বে কেন্দ্রটি এ বারও পুনর্দখল করেছে আপনা দল (সোনেলাল)।