জয়পুরে অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
১২৫ বছর আগে এই দিনটিতেই শিকাগোতে সহিষ্ণুতার বাণী শুনিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। আর আজ বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ জানিয়ে দিলেন, গণপিটুনিতে মহম্মদ আখলাকের মতো কেউ খুনই হোন আর অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে কেউ পুরস্কারই ফেরান, ক্ষমতায় আসবে বিজেপিই। বিরোধীদের মতে, হত্যাকাণ্ড বা প্রতিবাদকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলেই মনে করছে না বিজেপি।
ভোটমুখী রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে এ দিন সভা করেন বিজেপি সভাপতি। বিজেপির ফের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে আরও সুর চড়ান তিনি। আর তা করতে গিয়ে টেনে আনেন উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে গণপিটুনিতে হত্যার প্রসঙ্গ। দাদরিতে স্বঘোষিত গোরক্ষকদের হাতে মহম্মদ আখলাকের হত্যার অভিযোগ নিয়ে বেকায়দায় পড়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। দেশে অসহিষ্ণুতা বাড়ার প্রতিবাদে পুরস্কার ফিরিয়ে দেন বিশিষ্ট জনেদের একাংশ। কিন্তু তার পরেও গত বছরে উত্তরপ্রদেশে জয় পেয়েছে বিজেপি। রাজস্থানের অলওয়ারেও স্বঘোষিত গোরক্ষকদের হামলায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রাজসমুন্দে অভিযোগ উঠেছে ‘লাভ জেহাদ’-এ জড়িত সন্দেহে পুড়িয়ে মারার। রাজস্থানের বিজেপি সরকার এই ধরনের ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
আজ জয়পুরের সভায় অমিত বলেন, ‘‘যখনই ভোট আসে তখনই এক দল লোক আখলাক হত্যার প্রসঙ্গ তোলেন। বিশিষ্ট জনেদের একাংশ পুরস্কার ফিরিয়ে দেন। কিন্তু এ সব ঘটনায় বিজেপির জয় আটকানো যায়নি। আমরা আগেও জিতেছি। এ বারও
জিতব।’’ তাঁর কথায়, ‘‘মানুষকে প্রশ্ন করুন তাঁরা রাহুল গাঁধীকে প্রধানমন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশমন্ত্রী আর মুলায়ম সিংহ যাদবকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান কি না?’’
বিরোধী ও নাগরিক সমাজের একাংশের মতে, অমিতের বক্তব্য থেকে বোঝাই যাচ্ছে বিজেপি এখন ক্ষমতার দম্ভে মত্ত হয়ে রয়েছে।
বিজেপির ৫০ বছর দেশ শাসনের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে কংগ্রেসের মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘‘মুঙ্গেরিলাল কি হাসিন স্বপ্নে সিরিয়ালের মুখ্য চরিত্রের মতোই দিবাস্বপ্ন দেখছেন অমিত।’’ এ দিন বিজেপি সভাপতির পাল্টা খোঁচা, ‘‘কংগ্রেসের নেতারা সব নার্সারি রাইমের হাম্পটি ডাম্পটির মতো চরিত্র। অহঙ্কার ছাড়া তাঁদের মাথায় কিছু নেই।’’
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালার বক্তব্য, ‘‘পরাজয় সামনে দেখে মোদী-অমিত শাহদের হতাশা বাড়ছে। তাই অমার্জিত শব্দ ব্যবহার করছেন তাঁরা। এতে বিজেপি নেতাদের অহঙ্কারও ফুটে বেরোচ্ছে।’’