ফাইল চিত্র।
বিজেপি ফের ঝাড়খণ্ডের কুর্সিতে ফিরছে না বলেই আভাস মিলেছে বিভিন্ন সংস্থার বুথফেরত সমীক্ষায়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্তের নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম), কংগ্রেস ও আরজেডি-র জোট সব চেয়ে বেশি আসন পেয়ে সরকার গড়ার কাছাকাছি পৌঁছতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস এবং কশিস নিউজের সমীক্ষায়। এনডিটিভি এবং এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষায় ত্রিশঙ্কু বিধানসভার পূর্বাভাস দেওয়া হলেও বিজেপির থেকে কংগ্রেস-জেএমএম জোট বেশি আসন পেয়ে সুবিধাজনক জায়গায় থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আদিবাসী ও জনজাতি প্রধান ঝাড়খণ্ডে ক্ষোভের ইঙ্গিত ভোটের আগের সমীক্ষাগুলিতেই মিলেছিল। রঘুবর যে আদিবাসী বা জনজাতির ছিলেন না, সে বিষয়টিও বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছে বলে পূর্বাভাস মিলেছে। গত বিধানসভায় বিজেপি ৩৭টি আসন পেলেও অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আজসু)-এর সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করে। তবে এ বার আজসু আলাদা ভাবে নির্বাচনে লড়ায় বিরোধীদের সুবিধা হয়েছে। ২ থেকে ৫টি আসন পেলেও বিজেপির কিছু ভোট তারা কেটেছে বলে সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে। এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষায় কংগ্রেস-জেএমএম জোট ৩৫ ও বিজেপি জোট ৩২টি আসন পাবে বলে আভাস দেওয়া হলেও ত্রিশঙ্কু বিধানসভার কথা বলা হয়েছে। আবার ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস-এর সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৩৮-৫০টি আসন পেতে পারে কংগ্রেস-জেএমএম জোট। ২২ থেকে ৩২টি আসন পেয়ে বিরোধী বেঞ্চে বসতে হতে পারে বিজেপিকে। এনডিটিভি-র সমীক্ষায় ৪০টি আসন দেওয়া হয়েছে কংগ্রেস জোটকে। বিজেপি ২৯টি আসন পেতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। ঝাড়খণ্ডে পরিচিত কশিশ নিউজের সমীক্ষাতেও এগিয়ে রাখা হয়েছে কংগ্রেস জোটকে। তারা ৩৭ থেকে ৪৩টি এবং বিজেপি ২৫ থেকে ৩০টি আসন পেতে পারে বলে ফলাফলে উঠে এসেছে।
শুক্রবার রাজ্যের পঞ্চম ও শেষ দফায় ভোট হয় ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে। সর্বত্র সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও মাওবাদী অধ্যুষিত ৫টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয় দুপুর ৩টে পর্যন্ত। বাকি ১১টি কেন্দ্রে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত মানুষ লম্বা লাইন দিয়ে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী ৭০.৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে এ দিন। বড় কোনও গন্ডগোলের খবর মেলেনি। ফল প্রকাশ হবে সোমবার।