প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম। —ফাইল চিত্র।
তিনি পসমন্দা মুসলিম সমাজের প্রতিনিধি। তাই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালামকে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরে পসমন্দা সমাজকে কাছে টানতে চান বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী ২৭ জুলাই কালামের মৃত্যুদিনে সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিতে পথে নামতে চলেছে দল।
‘সম্মানের সঙ্গে উত্থান’-নামে ওই শোভাযাত্রার মাধ্যমে সংখ্যালঘু এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের কাজের সুফল তুলে ধরার পরিকল্পনা নিয়েছে দল। দিল্লি থেকে শুরু হয়ে উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, রাজস্থান, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড-সহ একাধিক রাজ্য ঘুরে ১৫ অক্টোবর, কালামের জন্মদিনে ওই যাত্রা শেষ হবে।
পসমন্দা মুসলিমদের কাছে টানতে ব্যবহার করা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তিকেও। বিজেপির সংখ্যালঘু শাখার প্রধান জামাল সিদ্দিকির মতে, ‘‘নরেন্দ্র মোদী ওবিসি শ্রেণির। পসমন্দারাও ওবিসি শ্রেণির। তাই বলাই যায় নরেন্দ্র মোদীও পসমন্দা শ্রেণির প্রতিনিধি। যিনি দেশের সব শ্রেণির মতোই পসমন্দাদেরও উন্নতি চান।’’
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখতে মুসলিমবহুল আসনগুলি থেকে জিতে আসার লক্ষ্য নিয়েছেন মোদীরা। এ দেশের ৮০-৮৫ শতাংশ মুসলিম পসমন্দা সমাজের। মোদী ভাল করেই জানেন, একমাত্র পসমন্দরা পাশে থাকলে, ওই আসনগুলিতে জয় সম্ভব। গোটা দেশে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত প্রায় ৬৬টি আসনকে চিহ্নিত করেছে বিজেপি। যেগুলির মধ্যে বাংলায় রয়েছে ১৩টি আসন। বিজেপি নেতৃত্বের মতে, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত পসমন্দা মুসলিমদের সামগ্রিক জীবনে সেই অর্থে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ নেতারা নিজেদের মুসলিমদের ‘মসিহা’ হিসেবে প্রচার করে স্বার্থসিদ্ধি করেছেন। তাই কালামের মতো উদারমনস্ক এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বকে পসমন্দাদের ‘আদর্শ’ হিসেবে তুলে ধরার কৌশল নেওয়া হয়েছে।
দলের সংখ্যালঘু শাখার এক নেতার কথায়, ‘‘কালাম পসমন্দা সমাজের এমন এক আইকন যিনি ভারতরত্ন। জাতীয়তাবাদী কালাম সর্বদা দেশের কথা ভাবতেন। আমরা চাই কালামকে আদর্শ করুন পসমন্দা সমাজের যুবকেরা।’’