ভোটমুখী বিহারের বিভিন্ন এলাকায় এখন সুশান্তের পোস্টার।
অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে ঘুঁটি করে বিহারে ভোটের মাঠে নেমে পড়ল বিজেপি। সেখানে প্রয়াত অভিনেতাকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর দলের স্লোগান, ‘না ভুলে হ্যায়, না ভুলনে দেঙ্গে’। বিরোধীরা বলছেন, নীতীশ কুমার সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতেই সুশান্তকে ভোটের ‘পোস্টার বয়’ করা হয়েছে।
সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই, ইডি, এনসিবি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সুশান্ত খুন হয়েছেন কি না, তা নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি সিবিআই। বরং সিবিআই সূত্র উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে দূরত্ব রাখতে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তারা বলেছে, ‘‘আমাদের কোনও সূত্র মারফত কোথাও কাউকে কোনও খবর দেওয়া হচ্ছে না।’’ আইনত, সিবিআই বা তদন্তকারী অফিসারদের সামনে কেউ অপরাধ স্বীকার করলেও তা আদালতে গ্রাহ্য হয় না। আর রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আনা সুশান্তের ১৫ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগের তদন্তে নেমে এখনও নির্দিষ্ট কোনও কথা বলেনি ইডি। তবে এই মুহূর্তে সুশান্তের মৃত্যুতে মাদক যোগের বিষয়টি নিয়ে এনসিবি-র তদন্তে সংবাদমাধ্যমে উথালপাথাল চলছে। তদন্তের মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে একমাত্র তারাই। বিজেপি-বিরোধী দলগুলির অনেকেরই বক্তব্য, ভোটের আগে নীতীশ সরকারের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতেই এতটা হইচই। আর এনসিবি তদন্তের সঙ্গে সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে মূল অভিযোগের যোগ আছে কিনা, সে প্রশ্নও রয়েছে।
এ সবের মধ্যেই অবশ্য ভোটের হাওয়া গরম করতে নেমেছে বিজেপি। ভোটমুখী বিহারের বিভিন্ন এলাকায় এখন সুশান্তের পোস্টার। দলের সাংস্কৃতিক বিভাগ ‘কলা সংস্কৃতি মঞ্চ’-এর সংযোজক বরুণকুমার সিংহ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সুশান্তকে নিয়ে ৩০ হাজার স্টিকার ও ৩০ হাজার মুখোশ তৈরি করিয়েছেন তাঁরা। তবে এতে ‘ভালবাসা থাকলেও রাজনীতি নেই’ বলে দাবি করেছেন তিনি। একই কথা নীতীশের দলের নেতা রাজীব রঞ্জনেরও।
তবে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেছেন, ‘‘বন্যা মোকাবিলা কিংবা প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে জবাব নেই নীতীশ-বিজেপির। মানুষের নজর ঘোরাতে তাদের হাতে একমাত্র রিয়া-সুশান্তের মামলাই রয়েছে।’’ আরজেডির মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারির মন্তব্য, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বিজেপি কারও মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে।’’