এই ছবি ব্যাবহার করে গোয়ায় ভোট প্রচারে নামবে বিজেপি। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পোপ দ্বিতীয় ফ্রান্সিসের আলিঙ্গনাবদ্ধ ছবি গোয়ায় ভোটে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে দাবি করছেন সে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, বিজেপিকে হিন্দুত্ববাদী হিসাবে তুলে ধরে যে প্রচার কংগ্রেস করে, তা ভোঁতা করে দেওয়া যাবে।
গোয়া সরকারের মন্ত্রী এবং রাজ্যের অন্যতম ক্যাথলিক মুখ মাভিন গোডিনহো সম্প্রতি জানিয়েছেন ওই সাক্ষাৎ ‘ঐতিহাসিক’। শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশের জন্যও। তাঁর বক্তব্য, “ওই বৈঠকটিকে এ বার গোয়ার ভোট প্রচারের অন্যতম অঙ্গ করা হবে।” ২৭ শতাংশ ক্যাথলিকের বসবাস গোয়াতে। মাভিনের কথায়, “কংগ্রেস প্রচার করেছিল আমরা সেন্ট জেভিয়ার্স-এর সমাধি নিয়ে কোনও প্রদর্শনী করব না। কিন্তু আমরা তা বড়সড় ভাবেই করেছি। তারা বলেছিল, পোপকে মোদী সরকার কখনই আমন্ত্রণ জানাবে না, কারণ বিজেপি সংখ্যালঘু-বিরোধী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পোপের একটি বৈঠকেই এই সব প্রচার অমূলক প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। মানুষের কাছে এই বার্তা গিয়েছে যে বিজেপি ক্যাথলিকদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়।” গোয়ায় বিজেপির ২৭ জন বিধায়কের মধ্যে ১৫ জন ক্যাথলিক।
গোয়ার পাশাপাশি মোদী-পোপ সাক্ষাতের ঘটনাটিকে মণিপুরেও কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে বিজেপি। মণিপুরের প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী। ঘটনা হল ১৯৯৯ সালে পোপ দ্বিতীয় জন পল ভারতে এসে ক্যাথলিকদের অধিকার রক্ষা সম্পর্কে সরব হয়েছিলেন। সে সময়ে তাঁর সমালোচনা করেছিল আরএসএস তথা সঙ্ঘ পরিবার।
গোয়া কংগ্রেস অবশ্য বিষয়টিকে আদৌ গুরুত্ব দিচ্ছে না। কংগ্রেস বিধায়ক অ্যালেক্সিও রেগিনাল্ডোর মতে, গোয়া বিজেপির বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ রয়েছে সেখানকার ক্যাথলিকদের। তাঁরা এককাট্টাও হচ্ছে। অ্যালেক্সিও বলেন, “ওই সাক্ষাতের ছবি বিশেষ কাজে আসবে না। রাজ্যে ক্যাথলিকরা বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। তাঁরা কংগ্রেসের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।”