মোদী সরকারের নবম বর্ষপূর্তি দেশ জুড়ে উদ্যাপন করবে বিজেপি।
মোদী সরকারের নবম বর্ষপূর্তি দেশ জুড়ে উদ্যাপন করবে বিজেপি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা, শোভাযাত্রার পাশাপাশি সরকারি কাজের সুবিধা নিয়ে প্রচার জোরালো করার পরিকল্পনা করেছে নরেন্দ্র মোদীর দল। তবে বিরোধীরা বলছেন, সদ্য কর্নাটকে হেরেছে বিজেপি। সেই হার থেকে দেশবাসী ও দলের কর্মীদের নজর ঘোরাতেই এত সব আয়োজন।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান করে আসছে বিজেপি। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তাই এ যাত্রায় গোটা দেশকে বার্তা দেওয়ার কৌশল নিয়েছে তারা। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, এ মাসের শেষ সপ্তাহে খুলে দেওয়া হবে নতুন সংসদ ভবন। যার কাজ শুরু হয়েছিল তিন বছর আগে, মোদী জমানাতেই। সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ বার বিজেপির জনসংযোগ যাত্রা প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রকে ছুঁয়ে যাবে। ৩০-৩১ মে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রায় ১০ লক্ষ বুথে দলের কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন নরেন্দ্র মোদী। প্রতিটি লোকসভাকে ছুঁতে গিয়ে ৫১টি পদযাত্রা ছাড়াও প্রায় চারশোটি জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। পদযাত্রা ও জনসভাগুলির নেতৃত্বে থাকবেন সাংসদ, বিধায়ক, রাজ্য সভাপতি পর্যায়ের নেতারা।
প্রায় এক মাস ধরে চলা জনসম্পর্ক অভিযানে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের বলা হয়েছে বুথ-জেলা ও রাজ্য পর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবেই এটা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীদের বলা হয়েছে, সাংবাদিক বৈঠক করে মোদী সরকারের সাফল্যের দিকগুলি তুলে ধরতে। জনসংযোগ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে কর্মীরা পৌঁছবেন আমজনতার কাছে। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘জনধন অ্যাকাউন্ট, কোভিডের সময়ে বিনামূল্যে খাবার ও প্রতিষেধক দেওয়া, রাম মন্দির নির্মাণ, কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহার করে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনার মতো বিষয়গুলি জনতার সামনে তুলে ধরতে বলা হয়েছে।’’ মোদী সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের হাত ধরে কী ভাবে গরিব মানুষের জীবনের উন্নতি হয়েছে— তা নিয়ে জোরালো প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের কর্মীদের। বর্ষপূর্তির অঙ্গ হিসেবে ১৮ মে দিল্লির প্রগতি ময়দানে ‘ইন্টারন্যাশনাল মিউজ়িয়াম এক্সপো’র উদ্ধোধন করবেন মোদী।