কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। —ফাইল চিত্র।
আগামী রবিবার মধ্যপ্রদেশের পঞ্চম প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। ইতিমধ্যেই ওই রাজ্যে সাত জন সাংসদ মনোনয়ন পেয়েছেন। এ বার জল্পনা শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নামকে কেন্দ্র করে। সূত্রের মতে, ওই রাজ্যে পরিস্থিতি বিশেষ সুবিধার নয় দেখে জ্যোতিরাদিত্যের মতো নেতাকে দাঁড় করানোর কথা ভাবছে দল। শেষ পর্যন্ত তিনি দাঁড়ালে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর সংখ্যা আরও এক জন বাড়তে চলেছে।
ইতিমধ্যেই ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশে চারটি তালিকায় মোট ১৩৬ জনের নাম ঘোষণা করেছে দল। বাকি ৯৪টি নাম। সূত্রের মতে, চতুর্থ তালিকায় যে ৫৭টি নাম ঘোষণা করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ফের টিকিট পাওয়া দু’ডজন মন্ত্রী রয়েছেন। যাঁদের অধিকাংশ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের ঘনিষ্ঠ।
কিন্তু সূত্রের মতে, যে ৯৪টি আসন পড়ে রয়েছে, সেগুলির মধ্যে মধ্যে অন্তত ২৫-৩০ জন আসনে বিধায়কের বিরুদ্ধে স্থানীয় পর্যায়ে প্রবল অসন্তোষ রয়েছে। সে কারণে পঞ্চম তালিকায় অন্তত ২৫ শতাংশ আসনে নতুন মুখ দেওয়ার কথা ভাবছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
তবে তাতে দলে অসন্তোষ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনীতির অনেকে। চতুর্থ তালিকায় সাগর জেলার বন্ডা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট না পাওয়ায় ইতিমধ্যেই বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সুধীর যাদব। যাদব সমাজের স্থানীয় ওই নেতা বর্তমানে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির সঙ্গে দর কষাকষিতে ব্যস্ত। প্রাক্তন সাংসদ সূর্য নারায়ণ যাদবের ছেলে সুধীর দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার বড় সংখ্যক যাদব ভোট বিজেপির পাশ থেকে সরে যাওয়ার আশঙ্কা করছে দল। পিতা কৈলাস টিকিট পাওয়ায় ইন্দোর-৩ কেন্দ্র থেকে ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয়ের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। শেষ পর্যন্ত টিকিট না পেলে তাঁরও বিদ্রোহী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী তথা কট্টর হিন্দু নেতা নরোত্তম মিশ্রের কথায়, ‘‘দীপাবলি আসছে। তাই বিস্ফোরক তালিকার জন্য প্রস্তুত থাকুন।’’
এই আবহে গোয়ালিয়র-চম্বল এলাকায় গেরুয়া ঝড় নিশ্চিত করতে সিন্ধিয়া রাজ পরিবারের সদস্য জ্যোতিরাদিত্যকে দাঁড় করানোর কথা ভাবছেন বিজেপি নেতৃত্ব। গোয়ালিয়র-চম্বল এলাকায় ৩৪টি বিধানসভা আসন রয়েছে। পাঁচ বছর আগে জ্যোতিরাদিত্য যখন কংগ্রেসে ছিলেন, তখন ওই এলাকায় ২৮টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। পরে জ্যোতিরাদিত্য তাঁর অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলে রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করে।
এ বার জ্যোতিরাদিত্যের অধিকাংশ ঘনিষ্ঠকে টিকিট দেওয়ার নীতি নিয়েছে বিজেপি। দল চাইছে, ওই বিধায়কদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিন জ্যোতিরাদিত্য। যাতে গোয়ালিয়র-চম্বল এলাকায় ভাল ফল করে মসনদ ধরে রাখতে পারে দল।