উদ্ভব ঠাকরে। ছবি: পিটিআই
সরকার গড়া নিয়ে সমঝোতা তো দূরের কথা, মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা দড়ি টানাটানি যেন থামছে না। মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে অনড় থাকা শিবসেনা এ বার বড় শরিকের বিরুদ্ধে ‘মুঘলদের মতো হুমকি’র অভিযোগ আনল।
তাদের স্পষ্ট মত, এই ‘হুমকি’ অসাংবিধানিক, গণতন্ত্রের পক্ষে অশুভ। শিবসেনার পক্ষ থেকে দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’-য় লেখা হয়েছে, ‘আইন বা সংবিধান কারও দাসানুদাস নয়। মহারাষ্ট্রের মানুষ খুব ভাল জানেন, এই অচলাবস্থার জন্যে আমরা দায়ী নই। হুমকিগুলি মুঘল জমানার মতো শোনাচ্ছে। আমরা আইন ভাঙব না, সংবিধান লঙ্ঘন করব না।’
আরও পড়ুন:আড়ি পাতা হচ্ছে, ভারত সরকারকে মে মাসেই জানানো হয়েছিল, দাবি হোয়াটসঅ্যাপের
আরও পড়ুন:জ্বলছে চোখ, হচ্ছে প্রবল কাশি, দূষণের চাদরে দমবন্ধ দিল্লিতে ‘জরুরি অবস্থা’
মহারাষ্ট্রে বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৮ নভেম্বর। তার আগে এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি বা শিবসেনা। শিবসেনার দাবি, মহারাষ্ট্রের মানুষ চান মুখ্যমন্ত্রী হোক তাঁদের দল থেকেই। এমনকি বিজেপিকে বাদ দিয়ে সরকার গড়তে পারে শিবসেনা, এমন হুঙ্কারও শোনা গিয়েছে। অন্য দিকে বিজেপি দেবেন্দ্র ফডণবীসকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাইছে। দুই শরিকেরএই দ্বৈরথে কার্যত থমকে গিয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা গঠন। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুধীর মুনগন্টীওয়ার এই অবস্থাতেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সম্ভাবনার কথা বলেন। এতেই চটেছে শিবসেনা। দলীয় মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘যাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে না, তাঁদের মুখেই আবার রাষ্ট্রপতির শাসনের হুমকি। এদের আচরণ এমন, যেন শাসক হিসেবই তারা জন্মেছে।’
যুযুধান দুইপক্ষের মধ্যে যখন এই উষ্ণ সওয়াল জবাব, তখন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করেছে। মরাঠা স্ট্রংম্যান শুক্রবার একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘শিবসেনা বলছে ৫০-৫০ ফর্মুলার প্রতিশ্রুতি পেয়েই ভোট ময়দানে নেমেছিল। বিজেপির উচিত সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা। আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়ার সময়ে ১৫ দিন মতো সময় নিয়েছিলাম।’’
শোনা গিয়েছিল, শুক্রবার টেলিফোনে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে কথা বলেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এদিন সেই জল্পনা উড়িয়ে দেন পওয়ার। তিনি জানিয়ে দেন, ‘‘আমরা বিবেচনা করেই স্থির করেছি বিরোধীর আসনে বসব। জনাদেশ আমাদেরসেই কাজই করতে বলেছে।’’ তাঁর সরেস মন্তব্য, ‘‘কোনও পক্ষের সঙ্গেই আমার কথা হয়নি। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ে শেষ কথাবার্তা হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের আগে।’’ কর্মসূচি জানতে চাইলে তিনি জানান, সনিয়া গাঁধীর ফোন পেয়েছেন। নভেম্বরের ৪ তারিখ বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন ৭৮ বছর বয়সি কংগ্রেস নেতা।