ফাইল চিত্র।
জয়লাভ অনায়াসে হলেও, মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে জট অব্যাহত লখনউয়ে। আগামিকাল এ নিয়ে বৈঠক করতে উত্তরপ্রদেশে উড়ে যাচ্ছেন অমিত শাহ। সরকারি ভাবে ওই রাজ্যে বিধানসভার দলনেতা নির্বাচনের পাশাপাশি মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে আগামিকালের বৈঠকে। আগামী শুক্রবার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের।
মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে মূল জটটি হল উপমুখ্যমন্ত্রী পদটিকে ঘিরে। গত বার যোগীকে মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার সঙ্গেই ওবিসি ও ব্রাহ্মণ সমাজকে বার্তা দিতে যথাক্রমে কেশবপ্রসাদ মৌর্য ও দীনেশ শর্মাকে উপমুখ্যমন্ত্রী করে দল। এ দফায় মহিলাদের বার্তা দিতে জাটভ নেত্রী বেবি রানি মৌর্যকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার কথা ভাবছে দল। সব মিলিয়ে তিন জন উপমুখ্যমন্ত্রী করার একটি ভাবনা রয়েছে দলের মধ্যে। উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল বেবি এ দফায় জাটভ ভোটকে বিজেপির পক্ষে আনতে অনেকাংশেই সফল হয়েছেন। উপরন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বেবি। দল মনে করছে মহিলা ক্ষমতায়নের বার্তা দিতে ও আগামী লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের পিছিয়ে থাকা সমাজের মহিলা ভোট পেতে বেবিকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা মোক্ষম চাল হতে পারে বিজেপির জন্য।
সমস্যা হল বেবি যদি উপমুখ্যমন্ত্রী হন তবে সিরাথু থেকে হেরে যাওয়া কেশবপ্রসাদ মৌর্যের উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব হারানো নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে কেশবপ্রসাদের পরিবর্তে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন কুর্মি নেতা স্বতন্ত্র দেও সিংহ। রাজ্য বিজেপির সভাপতি স্বতন্ত্র দেও ওবিসি সমাজের প্রতিনিধি। উপরন্তু যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে তাঁর। দলকে বিধানসভায় জেতানোর পিছনে স্বতন্ত্রের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতে তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার পক্ষে সরব রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একটি অংশ। সেই তুলনায় বিধানসভায় হেরে যাওয়ায় স্বভাবতই দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছেন কেশব। যদিও উত্তরাখণ্ডে হেরে যাওয়া সত্ত্বেও পুষ্কর সিংহ ধামীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দল বেছে নেওয়ায় নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন কেশবপ্রসাদ। তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলছেন, পুষ্করের যদি শিকে ছেঁড়ে তবে ওবিসি সমাজের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা কেশবের কেন ভাগ্য খুলবে না! গত বারের দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মাকেও এ দফায় সংগঠনের কাজে ব্যবহার করার কথা ভাবছে দল। পরিবর্তে ব্রাহ্মণ সমাজের বিধায়ক ব্রজেশ পাঠককে উপমুখ্যমন্ত্রী করার ভাবনাচিন্তা রয়েছে দলের মধ্যে।