অযোধ্যা বিতর্ক মেটাতে প্রধান বিচারপতি মধ্যস্থতা করতে চাওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মুসলিম নেতাদের সঙ্গে ঘরোয়া ভাবে কথা শুরু করলেন বিজেপি নেতারা।
এই দৌত্যের দায়িত্বে প্রধানত রয়েছেন বিজেপির মুসলিম নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। আজ তিনি মুসলিমদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। কিন্তু তারই মধ্যে সুর চড়িয়ে বিজেপির সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেছেন, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র না পাওয়া গেলে আইন করে মন্দির বানাবে সরকার।’’ বিজেপি সূত্রে খবর, কৌশলগত ভাবেই সুর চড়িয়েছেন স্বামী। ওই বিজেপি নেতার এ ভাবে মুখ খোলার পিছনে সঙ্ঘ পরিবারের পাশাপাশি সমর্থন রয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর। বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি-সহ মুসলিমদের বেশ কিছু সংগঠন আলোচনায় আগ্রহী নয়। স্বামীকে দিয়ে মোদী তাদের উপরেই চাপ বাড়াতে চাইছেন বলে দাবি দলীয় সূত্রের। এ দিকে প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের প্রস্তাবকে আজ স্বাগত জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। বোর্ডের সদস্য মৌলানা খালিদ রশিদ জানান, প্রধান বিচারপতি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিলে তাঁদের কোর্টের বাইরে বিষয়টি মেটাতে সমস্যা নেই। দেওবন্দের মৌলবি মৌলানা সুহেব কাসমিও রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘এই মামলায় এক পক্ষ হারবেই। তাই মন্দির-মসজিদের মতো স্পর্শকাতর বিষয় আদালতের বাইরেই মেটানো উচিত।’’ মীমাংসা সূত্র খুঁজতে জামা মসজিদের ইমাম-সহ লখনউয়ের বিভিন্ন মুসলিম প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের কথা শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা।