পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
গ্রেফতারির পর এ বার নিজের সম্প্রদায়েই একঘরে হতে চলেছেন ধর্ষণে অভিযুক্ত স্বামী চিন্ময়ানন্দ। তাঁর ‘সাধু’ উপাধি কেড়ে নিতে চলেছে অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ (এবিএপি)। শুধু তাই নয়, চিন্ময়ানন্দকে নিজেদের সম্প্রদায় থেকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এর ফলে নিজের নামের সঙ্গে আর ‘সাধু’ বা ‘স্বামী’ উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না চিন্ময়ানন্দ।
‘সাধু’ সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংগঠন এবিএপি-র সভাপতি মহন্ত নরেন্দ্র গিরি রবিবার জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই চিন্ময়ানন্দকে সম্প্রদায় থেকে বহিষ্কার করা হবে।
মহন্ত জানিয়েছেন, শনিবার এবিএপি পরিষদের একটি বৈঠক বসেছিল। সেখানেই স্বামী চিন্ময়ানন্দকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরে ঘোষণা করা হবে। এ দিন মহন্ত বলেন, ‘‘১০ অক্টোবর হরিদ্বারে অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে। সেখানকার সাধারণ সভা এ সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেবে।’’
আরও পড়ুন: আজ ঐতিহাসিক ‘হাউডি মোদী’ সমাবেশ, সভায় যোগ দিতে হিউস্টনে মোদী
আরও পড়ুন: যেন টাইম ট্রাভেল! কর্নাটকের এই গ্রামে গেলে এটাই মনে হতে পারে আপনার
উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের আইন পড়ুয়া এক ছাত্রীর অভিযোগ ছিল, গত এক বছর ধরেই তাঁকে ধর্ষণ এবং শারীরিক ভাবে নির্যাতন করছেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দ। চিন্ময়ানন্দের কলেজেই আইন পাঠরতা ওই পড়ুয়ার আরও অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। এর পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) এর তদন্ত শুরু করে। ২৩ বছরের ওই আইন পড়ুয়া তদন্তকারীদের ৪৩ ভিডিয়ো-সহ বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ পেশ করেন। এর পর গত শুক্রবার ওই পড়ুয়াকে যৌন হেনস্থা ও ভয় দেখানোর অভিযোগে চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতার করেন সিট-এর আধিকারিকেরা। তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়নি।
তবে মহন্ত নরেন্দ্রর দাবি, ‘‘চিন্ময়ানন্দ তাঁর কুকীর্তির কথা স্বীকার করেছেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘সাধু সম্প্রদায়ের পক্ষে এর থেকে বেশি লজ্জার আর কিছু হতে পারে না।’’ গিরি জানিয়েছেন, আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত চিন্ময়ানন্দকে বহিরাগত হয়ে থাকতে হবে।