প্রতীকী ছবি।
শরিকদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ককে শাসক জোটের অংশ করেছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হলেও জোট ছাড়ছে না বিজেপি। বরং কংগ্রেসকে জোটে টানার বিষয়ে স্পষ্টীকরণ চেয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এ কথা জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি আর্নেস্ট মাওরি। মাওরি জানান, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অবশ্য কংগ্রেস বিধায়কদের জোটে নিয়ে চলতে সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন, মেঘালয়ের ভারপ্রাপ্ত বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি এম চুবা আও। তিনি জানান, এ থেকে প্রমাণ হচ্ছে শাসক জোটের নীতি-আদর্শ ও জনমুখী কার্যকলাপকে কংগ্রেসও স্বীকৃতি দিল। অবশ্য চুবাও বলেন, ‘‘শরিক হিসেবে আমরা অবশ্যই আশা করব জোটে অন্য কোনও দলের বিধায়কদের অন্তর্ভুক্তির আগে মুখ্যমন্ত্রী সকলের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এমনকি কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়কের শাসক জোটে যোগদানের ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।’’
তাঁর কথায়, মেঘালয়ে কংগ্রেস এখন শেষের মুখে। তাঁদের ১২ জন দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এখন বাকি পাঁচ বিধায়কও এমডিএ জোটে যোগ দিয়ে সাসপেন্ড হওয়ার মুখে। তেমন হলে শীঘ্রই মেঘালয় বিধানসভা কংগ্রেসহীন হয়ে যাবে।
এ দিকে কংগ্রেস ছেড়ে ১১ জন বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করা বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমার মতে, কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়কের শাসক জোটে যোগদান আদতে কংগ্রেস ও এনপিপির গোপন আঁতাতেরই ফল। ওই কংগ্রেস বিধায়কেরা নিজের অবস্থান সম্পর্কেই নিশ্চিত নন। কংগ্রেসের দিশাহীন রাজনীতির ফলেই ওই বিধায়কেরা শাসক জোটে যোগ দিয়ে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা টিঁকিয়ে রাখতে চাইছেন।
মুকুলের দাবি, ‘‘রাজ্যে এখন তৃণমূল বাদে সকলেই শাসক জোটের শরিক। আমরা রাজ্য ও রাজ্যবাসীর দিনবদলের জন্য একাই লড়ছি।’’
মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা কংগ্রেস ছেড়ে আরও ১১ জন বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। মুকুলের দীর্ঘদিনের বন্ধু প্রশান্ত। মেঘালয়ে তৃণমূলের জনসংযোগ তথা মিডিয়া সংযোগের গোটা বিষয়টিই দেখভাল করছে প্রশান্তের সংস্থা। কিন্তু তৃণমূল ও প্রশান্তের সংস্থার মধ্যে টানাপড়েনের খবর কী মেঘালয়েও তৃণমূলে ভাঙন ধরতে পারে? কংগ্রেসে ফিরতে পারেন মুকুলরা? মুকুল সম্ভাবনা উড়িয়ে বলেন, সব উড়ো খবর। তৃণমূল-প্রশান্ত বিচ্ছেদের খবরে কোনও ভিত্তি নেই। আরও জানান, তাঁরা তৃণমূলেই থাকছেন। কংগ্রেসে ফেরার প্রশ্নই নেই। রাজ্যে এখন তৃণমূল বাদে সকলেই শাসক জোটের শরিক।