গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।
মহারাষ্ট্রে নাটকীয় ঘটনা পরম্পরার শেষে সরকার গঠনের প্রেক্ষাপটেই বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক বসছে হায়দরাবাদে। পশ্চিমে সাফল্যের পর এ বার কি বিজেপির নজর দক্ষিণে? কর্মসমিতির বৈঠকের আগে তেলঙ্গানায় বিজেপি যে কর্মসূচি নিয়েছে তাতেই উঠেছে প্রশ্ন। দলের পক্ষে ঠিক হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যরা রাজ্যের ১১৯টি বিধানসভা এলাকায় সফর করবেন। শনি ও রবিবার হবে বৈঠক। তবে তার আগে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সব সদস্যকে হায়দরাবাদে পৌঁছতে বলা হয়েছে। বাংলা থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্য সদস্যেরা সেই মতো পৌঁছে গিয়েছেন তেলঙ্গানায়।
২০২৩ সালেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে তেলঙ্গানায়। ১১৯ আসনের রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা তিন। সেখানে শাসক টিআরএস-এর হাতে রয়েছে ১০৩ জন বিধায়ক। রাজ্যে লোকসভা আসন ১৭টি। তার মধ্যে ৪টি বিজেপির। এই অবস্থাতে দক্ষিণের এই রাজ্যে বড় লড়াই দেওয়ার পরিকল্পনা বিজেপির। সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের নেতাদের নিয়ে এই কর্মসূচি। বিজেপি ঠিক করেছে, জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দিতে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তেলঙ্গানায় কোনও না কোনও একটি বিধানসভায় গোটা একটি দিন কাটাবেন। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সেখানকার পরিস্থিতি জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেবেন। এর মাধ্যমে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দল কতটা প্রস্তুত তার সমীক্ষাও সেরে ফেলতে চাইছে বিজেপি।
দেশের অন্যান্য অংশে বিজেপি শক্তি বাড়াতে পারলেও দক্ষিণ ভারতে এখনও সে ভাবে সাফল্য পায়নি। একমাত্র কর্নাটকেই সরকার গড়তে পেরেছে। দলের দাবি, এ বার তেলঙ্গানাকে নজরে রেখেই হায়দরাবাদে বসছে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহেরা তো বটেই, থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।