দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের ছেলে জয়ের ব্যবসা সংক্রান্ত অভিযোগ ওঠার পর তিনি বলেছিলেন, ‘‘কোনও অভিযোগে দলের বড় পদে থাকা কারও নাম জড়ালে তার তদন্ত হওয়া উচিত।’’ আর এ বার বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার দাবি, ‘ওয়ান ম্যান শো, টু ম্যান আর্মি’ মনোভাব নিয়ে থাকলে মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হবে বিজেপি। কারও নাম না করলেও বিজেপি সাংসদের নিশানায় যে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ, তা কার্যত স্পষ্ট। রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে এক সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেন পটনা সাহিবের সাংসদ।
শত্রুঘ্ন সিনহা মনে করেন, হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাতে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে বিজেপিকে। দেওয়ালের লিখনটা বুঝতে হবে। বিরোধীদের কখনই হালকা ভাবে নেওয়া চলবে না। তাঁর অভিযোগ, গুজরাতে দলীয় নেতৃত্বের ‘একগুঁয়েমির’ জন্যই পাতিদার আন্দোলন এ ভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরি দিন, না হলে গদি ছাড়ুন, মোদীকে আক্রমণ রাহুলের
সাংসদের দাবি, বিজেপির উচিত ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং দলের প্রবীণ নেতাদের আশীর্বাদ নিয়ে কাজ করা। নাম না করে মোদী-শাহ জুটিতে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘আমি বুঝতে পারি না, লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী, যশবন্ত সিনহা এবং অরুণ শৌরির মত প্রবীণ নেতারা কী দোষ করেছেন। কেন তাঁদের কোণঠাসা করে দেওয়া হল? আমরা সকলে একটা পরিবারের মতো ছিলাম। ভুল যদি হয়ে থাকে, তা হলে কেন মিটমাটের পথে হাঁটা হল না?
দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আক্রমণ এখানেই শেষ হয়নি সাংসদের। তাঁর দাবি, ‘‘একাধিক ব্যর্থতার দিকে ফিরে তাকানো উচিত দলের।’’ এ দিন নোট বাতিল নিয়েও মোদীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন শত্রুঘ্ন। অভিযোগ করেছেন, নোট বাতিলের ফলে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি, জিএসটি-র ফলে একমাত্র চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টদের ফায়দা হয়েছে অভিযোগ তাঁর।
আরও পড়ুন: শিল্পসভায় ভোটপ্রচার প্রধানমন্ত্রী মোদীর
কয়েক দিন ধরেই দলের একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব বিহারের এই সাংসদ। গত ১৪ অক্টোবর পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ না জানানোয় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ তিনি। খবর রটে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরই আমন্ত্রিতের তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দিয়েছে। তার পর থেকেই দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে বার বার ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে অতীতে বলিউড কাঁপানো এই অভিনেতাকে।