অমেঠীতে জমি কেনার আইনি প্রক্রিয়া সারছেন স্মৃতি। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
রাহুল গাঁধীর কাছ থেকে অমেঠী ছিনিয়ে নিয়েছিলেন আগেই। বিপদে আপদে অমেঠীর মানুষের পাশে থাকতে এ বার সেখানে বাড়িও তৈরি করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ইতিমধ্যেই ১৫ হাজার স্কোয়্যার ফুটের একটি জমি কিনে ফেলেছেন তিনি। খুব শীঘ্র বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হতে চলেছে। বছরের পর বছর যে অমেঠী গাঁধী পরিবারের দখলে ছিল, সেখানে তাদের প্রত্যাবর্তন রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
অমেঠীর গৌরীগঞ্জের মদন মাওয়াই এলাকায় বাড়ি তৈরির জন্য জমি কিনেছেন স্মৃতি। সোমবার নিজে গিয়ে সেই জমির রেজিস্ট্রিও সেরে আসেন তিনি। সেখানে নাম না করে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীকেও একহাত নেন। অভিযোগ করেন, মানুষ ঠায় পথ চেয়ে বসেছিলেন। কিন্তু ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি দিলেও এত দিন অমেঠীতে এসে স্থানীয়দের সঙ্গে থাকার তাগিদ অনুভব করেননি কোনও সাংসদ। বাড়ি তৈরির আগে ভূমিপুজোর জন্য স্থানীয়দের আমন্ত্রণ জানাবেন বলেও জানান স্মৃতি।
অমেঠী বরাবরই গাঁধী পরিবার এবং কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত ছিল। সঞ্জয় গাঁধী, রাজীব গাঁধী, সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, বছরের পর বছর সেখানকার সাংসদ ছিলেন। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে অমেঠীকে পাখির চোখ করে এগিয়েছিলেন স্মৃতি। সে বছর রাহুলের কাছে ১ লক্ষের বেশি ভোটে হারতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু ২০১৯-এ রাহুলকে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেন তিনি।
তার পর থেকে অমেঠীতে আনাগোনা বাড়লেও এত দিন বাড়ি ভাড়া নিয়েই থাকতে হত স্মৃতিকে। এ বার পাকাপাকি নিজের বাড়িই তৈরি করতে চলেছেন তিনি।