বৃহস্পতিবার ভোপালের একটি মন্দিরে আয়োজিত সভায় প্রজ্ঞা বলেন, ‘‘যাঁরা নিজেদের বাড়িতে নিরাপদ নন, হিজাব তাঁদেরই প্রয়োজন। তাঁরা বাড়িতেই পরুন। প্রকাশ্যে হিজাব পরার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ, হিন্দু ধর্ম নারীদের পুজো করতে শেখায়।’’ তবে মুসলিম ছাত্রীরা চাইলে মাদ্রাসায় হিজাব পরতে পারেন বলে জানান, সাধ্বী।
ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। ফাইল চিত্র।
ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর। এ বার মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বিজেপি সাংসদের নিশানায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার অধিকার ঘিরে সাম্প্রতিক বিতর্ক।
বৃহস্পতিবার ভোপালের একটি মন্দিরে আয়োজিত সভায় প্রজ্ঞা বলেন, ‘‘যাঁরা নিজেদের বাড়িতে নিরাপদ নন, হিজাব তাঁদেরই প্রয়োজন। তাঁরা বাড়িতেই পরুন। প্রকাশ্যে হিজাব পরার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ, হিন্দু ধর্ম নারীদের পুজো করতে শেখায়।’’ তবে মুসলিম ছাত্রীরা চাইলে ‘তাঁদের মাদ্রাসায়’ হিজাব পরতে পারেন বলে জানান, মালেগাঁও বিস্ফোরণ-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সাধ্বী।
মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরার ‘ব্যাখ্যা’ দেন বার বার বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে আসা প্রজ্ঞা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘হিজাব হল পরদা। যাঁরা আপনাকে খারাপ চোখে দেখে তাঁদের বিরুদ্ধে পরদা ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু নিশ্চিত ভাবেই হিন্দুরা তাঁদের খারাপ চোখে দেখেন না। কারণ তাঁরা নারীদের পুজো করেন।’’
কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব-সহ ‘ধর্মীয়’ পোশাক পরে যাওয়া যাবে না বলে বুধবার অন্তর্বর্তিকালীন নির্দেশ দিয়েছে সে রাজ্যের হাই কোর্ট। সেই আবহে নতুন করে শুরু হয়েছে হিজাব পরার অধিকারের দাবিতে আন্দোলন। মধ্যপ্রদেশেও ইতিমধ্যেই হিজাব-বিতর্কের আঁচ লেগেছে। দাতিয়া জেলার এক সরকারি কলেজে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহিলা মোর্চা ‘দুর্গা বাহিনী’র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মুকলিম ছাত্রীদের হিজার পরে ক্লাস করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।