BJP MP

মসজিদের মতো গম্বুজ কেন? গোটা বাস স্ট্যান্ড গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফরমান ‘রাগী’ বিজেপি সাংসদের

বিজেপি সাংসদের দাবি, বাস স্ট্যান্ডে তিনটি গম্বুজ আছে, যা মসজিদের প্রতীক। কিন্তু স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক জানাচ্ছেন, মাইসুরু প্রাসাদের অনুকরণে তৈরি হয়েছে বাস স্ট্যান্ডটি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ১২:৫৫
Share:

মাইসুরুর সেই বাস স্ট্যান্ড (বাঁ দিকে), বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিম্হা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

কর্নাটকের মাইসুরুর আস্ত একটি বাস স্ট্যান্ডই ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চান বিজেপি সাংসদ। কারণ, ওই বাস স্ট্যান্ডের আদল। মাইসুরু প্রাসাদের অনুকরণে বাস স্ট্যান্ডটি তৈরি হলেও মাইসুরু-কোডাগু এলাকার বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিম্হার মনে হয়েছে, তা আসলে মসজিদের আদলে তৈরি। তাই নিজেই বুলডোজ়ার চালিয়ে ভেঙে দিতে চান।

Advertisement

সোমবার একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন প্রতাপ। সেখানেই তিনি নিজের ইচ্ছের কথা জানান। বলেন, ‘‘গম্বুজওয়ালা বাস স্ট্যান্ডের ছবি আমি সমাজমাধ্যমে দেখেছি। ওখানে তিনটি গম্বুজ আছে। একটি বড়, দু’পাশে দু’টি ছোট গম্বুজ। এটা তো মসজিদ। আমি ইঞ্জিনিয়ারদের বলেছি ওই বাস স্ট্যান্ড ভেঙে দিতে। যদি কথামতো কাজ না হয়, তা হলে আমি নিজেই জেসিবি চালিয়ে গিয়ে ভেঙে দেব।’’

ঘটনাচক্রে, ওই বাস স্ট্যান্ডটি তৈরি হয়েছে স্থানীয় বিধায়কের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায়। কৃষ্ণরাজা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কও বিজেপির। সাংসদের ফরমানে বিব্রত এস এ রামদাস। তিনি বলছেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। বাস স্ট্যান্ডটিকে মাইসুরু প্রাসাদের আদলে তৈরি করা হয়েছিল। মসজিদের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্কই নেই।’’

Advertisement

তবে বিজেপি সাংসদের প্রতাপের পরিচয় আগেও পাওয়া গিয়েছে। বার বার নিজের দলেরই বিধায়কদের সঙ্গেও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন কট্টর হিন্দুত্ববাদী এই বিজেপি সাংসদ। ক’দিন আগেই তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধায়করা মিলিত ভাবে তাঁর নামে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। গ্যাস পাইপলাইন বসাতে রাস্তা খোঁড়া নিয়েও তেমনই বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রতাপ। এ বার বাস স্ট্যান্ড নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন তিনি।

এই ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে দেরি করেনি কংগ্রেস। তাদের দাবি, মানুষের সুবিধার জন্য তৈরি বাস স্ট্যান্ড কার মতো দেখতে, তা নিয়ে নিজের দলের লোকজনের সঙ্গেই বিবাদে জড়িয়ে পড়ছে বিজেপি। এতেই বোঝা যায় দলে ঐক্যের কী অভাব!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement