Madhyapradesh

মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই বিধায়কের, বাড়ি তৈরির জন্য টাকার জোগাড় করছেন এলাকাবাসীরা

মধ্যপ্রদেশের নির্বাচন জিতে বিধায়কের হয়েছেন তিনি, অথচ মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে একচিলতে একটি কুঁড়েঘর! শুনতে আশ্চর্য লাগলেও সত্যি। এমন ঘটনাই ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:২০
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস

মধ্যপ্রদেশের নির্বাচন জিতে বিধায়ক হয়েছেন তিনি, অথচ মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে এক চিলতে কুঁড়েঘর! শুনতে আশ্চর্য লাগলেও সত্যি। অথচ এই সীতারাম আদিবাসীই হারিয়েছেন কংগ্রেসের ডাকসাইটে নেতা রামনিবাস রাওয়াতকে। সেই জয়ও একেবারে আসেনি। বিগত দু’টি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন রামনিবাসেরই কাছে। কিন্তু হাল ছাড়েননি। দারিদ্র সঙ্গে নিয়েই রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। ফল মিলেছে। কিন্তু দারিদ্র দূর হয়নি।

Advertisement

কিন্তু নিজের গ্রামের নেতা এমন ভাবে থাকবেন, সেটা পছন্দ হয়নি গ্রামবাসীদের। তাই তাঁরাই এবার উদ্যোগী হয়েছেন নেতার জন্য বসবাসের উপযুক্ত একটি দুই কামরার ঘরের বন্দোবস্ত করতে। এর জন্য রীতিমতো চাঁদা তুলে সেই বাড়ি তৈরির উদ্যোগ শুরুও হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

মধ্যপ্রদেশের বিজয়পুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জেতেন ৫৫ বছরের এই বিজেপি প্রার্থী। নির্বাচনের আগে পেশ করা সম্পত্তির হিসেবে দেখা গিয়েছিল যে, সীতারামের মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৪৬,৭৩৩ টাকা, যার মধ্যে নগদ ছিল মাত্র ২৫,০০০ টাকা। শেওপুর জেলার কারহাল বিকাশখণ্ড গ্রামের সীতারাম সহজ-সরল জীবনযাপনেই অভ্যস্ত। এখনও তাঁর সম্বল বলতে গ্রামের প্রান্তে ওই মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুই। সেখানেই স্ত্রী ইমতিবাঈকে নিয়ে বসবাস করেন নিঃসন্তান সীতারাম।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিয়ের দিনেই ডিভোর্স হল আমদাবাদের এই দম্পতির! জানেন কেন?

এর আগে ২০০৮ ও ২০১৩ সালে কংগ্রেস নেতা রামনিবাস রাওয়াতের কাছে নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন সীতারাম। অবশেষে ২০১৮ সালে ওই বিজয়পুর কেন্দ্র থেকেই জয়ের মুখ দেখেন তিনি। সীতারামের স্ত্রী জানিয়েছেন যে, চরম দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করলেও বরাবরই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে চেয়েছেন সীতারাম। তবে এ বার তাঁদের মাথা গোঁজার সমস্যার সমাধান হতে চলায় তিনি খুশি বলেও জানিয়েছেন সীতারামের স্ত্রী।

আরও পড়ুন: কর্মসংস্থানের তথ্য প্রকাশ করতে দিল না কেন্দ্র, তোপ দেগে ইস্তফা এনএসসি কর্তার

সীতারাম জানিয়েছেন যে, বিধায়ক হিসেবে নিজের প্রথম বেতন পেলেই সেই টাকায় তিনি জনগণের জন্য কিছু কাজ করতে চান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement