BJP MLA

তোকে কাবুল, কন্দহর, আফগানিস্তান পাঠাব! স্কুলের প্রিন্সিপালকে হুমকি বিজেপি বিধায়কের

স্কুলের প্রিন্সিপাল তাঁকে জানান, ফোনটি রেকর্ড হচ্ছে। এতে আরও খেপে যান হংসরাজ। বলতে থাকেন, ‘‘আমি তোকে বিধানসভায় ডেকে পাঠাব। এত বড় সাহস! কথা না শোনার জন্য তোর কড়া শাস্তি হবে।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৫১
Share:

হিমাচল প্রদেশের ডেপুটি স্পিকার এবং বিজেপি বিধায়ক হংসরাজ। ফাইল ছবি।

‘কথা না শোনায়’ এক স্কুলের প্রিন্সিপালকে আফগানিস্তান পাঠানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল হিমাচল প্রদেশের এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। হংসরাজ হিমাচল বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারও বটে। অভিযোগ, সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁর এক আত্মীয়ের ছেলেকে স্কুলে ভর্তি না নেওয়ায় প্রিন্সিপালকে এই হুমকি দেন হংসরাজ।

Advertisement

সম্প্রতি একটি টেলিফোন কথোপকথন ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সেখানে একটি গলা বিজেপি বিধায়ক হংসরাজের এবং অপর কণ্ঠ স্কুলের প্রিন্সিপালের বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। অধুনা ভাইরাল সেই অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে হংসরাজ রীতিমতো হুমকি দিচ্ছেন ওই স্কুলের প্রিন্সিপালকে।

অভিযোগ, হংসরাজ তাঁর এক আত্মীয়ের ছেলেকে একটি স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য প্রিন্সিপালকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু ভর্তির সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় প্রিন্সিপাল বিধায়কের দাবি মানেননি। তাতেই মেজাজ হারান হংসরাজ।

Advertisement

ওই অডিয়ো ক্লিপে হংসরাজকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘আমি চাম্বা থেকে বলছি। রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার। আমি অনুরাগজিকে বলব তোমার চেয়ারম্যানকে এটা জানাতে। ও তোমাকে টাইট দিয়ে দেবে।’’ কিন্তু তাতেও প্রিন্সিপাল নিয়ম ভেঙে ভর্তি নিতে রাজি না হওয়ায় মেজাজ হারান বিজেপি বিধায়ক। প্রিন্সিপাল তাঁকে সাফ জানান, হুমকির কাছে তিনি মাথা নত করবেন না। এর পরই রাজ্যের ডেপুটি স্পিকারকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি তোকে কাবুল, কন্দহর, আফগানিস্তান পাঠাব!’’

এর পর স্কুলের প্রিন্সিপাল তাঁকে জানান, তিনি ফোনটি রেকর্ড করছেন। এতে আরও খেপে যান হংসরাজ। বলতে থাকেন, ‘‘আমি তোকে বিধানসভায় ডেকে পাঠাব। এত বড় সাহস! কথা না শোনার জন্য তোর কড়া শাস্তি হবে।’’

তবে এটাই অবশ্য প্রথম নয়। এর আগে একটি সরকারি স্কুলের পড়ুয়াকে প্রকাশ্যে থাপ্পড় মেরে শিরোনাম দখল করেছিলেন চাম্বার বিজেপি বিধায়ক। যদিও এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement