দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। ফাইল চিত্র।
সংসদের সেন্ট্রাল হলে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ছবিতে শ্রদ্ধা জানানো হল তাঁর জন্মদিনে। কিন্তু সেখানে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কোনও মন্ত্রী বা বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা গরহাজির রইলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী নেহরুর অবদান স্মরণ করলেও তাঁর সরকারের মন্ত্রী ও দলের নেতারা জন্মবার্ষিকীতেও নেহরুকে নিশানা করতে ছাড়লেন না।
দেশের যাবতীয় সমস্যার জন্য মোদী নেহরুকেই দোষ দেন। আজ নেহরুর জন্মদিনে মোদী টুইট করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘আমরা দেশের প্রতি তাঁর অবদানও স্মরণ করছি।’’ কিন্তু মোদী সরকারের আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ও বিজেপির কিছু নেতা নেহরুর জন্মবার্ষিকীকেও তাঁকে নিশানা করেছেন। রিজিজু এ দিন ফের কাশ্মীরের সমস্যার জন্য নেহরুকে দোষারোপ করেছেন। তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। বিজেপির আইটি সেলের নেতা অমিত মালবীয় বলেছেন, “কংগ্রেস ও তার নেতৃত্ব নেহরু ও পরিবারের লোকেদের দেশের থেকেও বেশি অগ্রাধিকার দেয়। এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। রিজিজু সেটাই লিখেছেন।”
সংসদের সেন্ট্রাল হলে নেহরুর প্রতিকৃতিকে শ্রদ্ধা জানাতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, সংসদীয় দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী, শশী তারুর হাজির ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায়ও নেহরুকে শ্রদ্ধা জানাতে যান। বিজেপির কোনও মন্ত্রী বা নেতার হাজির না-থাকায় তারুরের প্রশ্ন, ‘‘দ্বিদলীয় ব্যবস্থা কি লোপ পেয়ে গেল?’’ সনিয়া, খড়্গে শান্তিবনে নেহরুর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা থেকে নেহরুকে উদ্ধৃত করে টুইট করেছেন, ‘‘ভারতমাতা কে? এই বিশাল দেশে ছড়িয়ে থাকা ভারতবাসী সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এই কোটি কোটি জনতাই ভারতমাতা। পণ্ডিত নেহরুর এই গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ হৃদয়ে নিয়ে চলছি। ‘হিন্দ কে জওহর’-এর ভারতমাতাকে রক্ষা করার জন্য।’’