(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং লালুপ্রসাদ যাদব। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিজেপি নতুন প্রচার শুরু করে দিল। লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা এখনও হয়নি। তবে ভোটের বাদ্যি যে বেজে গিয়েছে তা রাজনৈতিক দলগুলির কার্যকলাপ থেকেই স্পষ্ট। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এই আবহে ‘পরিবার’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের কটাক্ষের জবাবে আসরে নামল বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা— সকলেই সমাজমাধ্যমে ‘প্রতিবাদ’ শুরু করেছেন। সেখানে নামের পাশে একটাই কথা, ‘মোদী কা পরিবার’।
মোদী-সহ বিজেপির একাধিক নেতা-নেত্রী বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে বার বার ‘পরিবারতন্ত্র’-এর কথা টেনে আনেন। বিহারের মাটিতে গিয়ে লালুকে খোঁচা দিতে গিয়ে মোদীর প্রধান অস্ত্রই ছিল ‘পরিবারতন্ত্র’। সেই প্রসঙ্গ টেনে রবিবার পটনায় বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র এক জনসভায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু বলেন, ‘‘মোদী বার বার দাবি করেন বিরোধীরা পরিবারের জন্য লড়ছেন। আমি বলতে চাই আপনার (নরেন্দ্র মোদী) তো পরিবারই নেই।’’ লালুর সেই মন্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে পদ্মশিবিরে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, ‘‘মোদীকে আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়েছেন লালু।’’
‘মোদীর পরিবার নেই’, লালুর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। সোমবার সকাল থেকেই বিজেপির একাধিক ছোট-বড় নেতারা তাঁদের এক্স হ্যান্ডলে (পূর্বতন টুইটার) নিজের নাম পরিবর্তন করতে শুরু করেন। নিজেদের নামের পাশে ‘মোদী কা পরিবার’ লেখেন। অর্থাৎ সকলেই বোঝাতে চান, মোদী পরিবারহীন নন। তাঁরাই মোদীর পরিবার।
মোদী সোমবার নিজেও লালুর কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন। তেলঙ্গানায় এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিরোধীরা আমার পরিবার নিয়ে আক্রমণ করছেন। কিন্তু আজ গোটা দেশ বলছে আমার পরিবার।’’ তার পর সেই মঞ্চ থেকে আবারও পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিরোধীদের খোঁচা দেন তিনি। মোদী বলেন, ‘‘দেশের ১৪০ কোটি মানুষই আমার পরিবার। আমার জীবন খোলা বইয়ের মতো। ইন্ডিয়া জোটের নেতারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁরা নিজেদের পরিবারের বাইরে কিছু বোঝেন না।’’