বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। ফাইল চিত্র।
তেলঙ্গানার মতো রাজ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে ব্যস্ত অমিত শাহ। তাই বঙ্গে দলীয় সংগঠনের কাজের গতিপ্রকৃতি খতিয়ে দেখতে চলতি মাসেই আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। সূত্রের মতে, সব ঠিক থাকলে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগেই রাজ্য সফরে যাবেন ওই নেতা। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে প্রবাস কর্মসূচি-তে অংশ নিতে রাজ্যে যাচ্ছেন ছয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে লোকসভা নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যে লোকসভায় ভাল ফল করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ধারাবাহিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে প্রবাস কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাত কাটাতে বলা হয়েছে। সূত্রের মতে, চলতি মাসে যে ছ’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যে যাচ্ছেন তাঁরা হলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্মৃতি ইরানি, প্রতিমা ভৌমিক, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সাধ্বী নিরঞ্জনা জ্যোতি ও পঙ্কজ চৌধুরী। গত বছর ওই তালিকায় ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনপ্রতিমন্ত্রী শক্তিসিংহ বঘেল। কিন্তু ওই নেতার কাজে হতাশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আপাতত তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরিয়ে মধ্যপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছেন। বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছে, ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নির্দিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রে গিয়ে সেখানে রাত্রিবাস করবেন। তাঁদের মূল লক্ষ্যই হল জনসংযোগ। এ ধরনের সফরগুলিতে মন্ত্রীরা যেমন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন, তেমনই স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দলীয় আদর্শকে ওই ব্যক্তিদের মাধ্যমে সমাজের সব স্তরে ছড়িয়ে দেওয়াই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। পাশাপাশি ওই এলাকায় দলীয় সংগঠনের কাজ গত এক-দেড় মাসে কতটা এগিয়েছে তাও খতিয়ে দেখবেন ওই নেতারা।
গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৪টি আসনে হেরেছিল বিজেপি। এ বারে ওই আসনগুলিতে ভাল ফল করার দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছেন অমিত শাহ ও জে পি নড্ডা। ইতিমধ্যেই গত মাসে এক বার রাজ্য সফরে গিয়েছিলেন নড্ডা। বিজেপি সূত্রের মতে, এ মাসে অমিত শাহের যাওয়ার কথা থাকলেও, আপাতত কর্নাটক ও তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দলের প্রস্তুতিতে বেশি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে শাহকে। সেই কারণে আপাতত ঠিক হয়েছে শাহের জায়গায় রাজ্য সফরে যাবেন নড্ডা। দলের লক্ষ্য হল, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের আগেই নড্ডার পশ্চিমবঙ্গ সফর সেরে ফেলা। সাংগঠনিক সভা ছাড়াও উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের দুই লোকসভা কেন্দ্রে জনসভা করার কথা রয়েছে তাঁর। তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের এ ভাবে রাজ্য সফর ভোট রাজনীতিতে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ফলই ফের স্পষ্ট করে দেবে রাজ্যবাসীর সমর্থন কোন দলের পিছনে রয়েছে।’’