ফাইল চিত্র।
এডিএমকে-র অন্দরের অশান্তি বিজেপির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল বরাবরই ও পনীরসেলভমের ঘনিষ্ঠ। তাই তাঁর দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়া এবং ই পলানীস্বামীর এডিএমকে-র নেতৃত্ব দখলে অস্বস্তিতে বিজেপি। এডিএমকে শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে তেমন লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই তাদের। যদিও প্রকাশ্যে পদ্মশিবিরের নেতারা বলছেন, ঐক্যবদ্ধ এডিএমকে-ই বিজেপির জন্য ভাল।
এডিএমকে-র গোষ্ঠী কোন্দলে দ্রাবিড় রাজনীতিতে বিজেপি কিছুটা বিপাকে পড়ল বলে মনে করছিলেন অনেকে। তাঁদের যুক্তি ছিল, বহিষ্কৃত পনীরসেলভমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার মাসুল দিতে হবে বিজেপি-কে। অবশ্য দীর্ঘ দিন তামিলনাড়ুতে দলের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা এক বিজেপি নেতার মতে, পনীরসেলভমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা সাময়িক ভাবে বিজেপিকে অসুবিধায় ফেলেছে। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী, সুসংহত এডিএমকে-ই বিজেপির পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারে। ওই নেতার কথায়, ‘‘তামিলনাড়ু বিজেপির জন্য অনুকূল পরিবেশ নয়। এমনকি, সেখানে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তাও তেমন নেই। ফলে ওই রাজ্যে আমাদের একটি শক্তিশালী বন্ধু থাকা দরকার।’’ তাঁর মতে, রাজ্যের শাসকদল ডিএমকে-র লাগাতার বিজেপি-বিরোধিতা এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্যের কারণেই শক্তিশালী এডিএমকের প্রয়োজন।
তামিলনাড়ুতে বিজেপি প্রধান লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচনে বেশি আসন জেতা। যে হেতু ওই রাজ্যে পদ্মশিবিরের জমি তেমন পোক্ত নয়, তাই এডিএমকে-র সঙ্গে তাদের সখ্য জরুরি। বিজেপি নেতারা খতিয়ে দেখছেন, পলানীস্বামী তাঁদের কতটা ‘বন্ধু’ হবেন। জয়ললিতার প্রয়াণের পরে পনীরসেলভম এবং পলানীস্বামীর যৌথ নেতৃত্বে চলছিল এডিএমকে। কিন্তু পলানীস্বামীর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক তেমন ভাল ছিল না, যতটা ছিল পনীরসেলভমের সঙ্গে। পলানীস্বামী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তামিলনাড়ুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে গিয়ে একাধিক সভা করাতে চেয়েছিল রাজ্য বিজেপি। কিন্তু তার অনুমতি দিতেও বিস্তর গড়িমসি করেছিলেন পলানীস্বামী। গত বিধানসভা নির্বাচনে জোটের পরাজয়ের জন্য পলানীস্বামীকেও দায়ী করেছিল বিজেপি। যদিও এক বিজেপি সাংসদের বক্তব্য, তামিলনাড়ুতে তাঁদের হারানোর কিছু নেই। ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করলে আগামী দিনে ইতিবাচক ফল হতে পারে। তাই এডিএমকে-র অন্দরের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব।