ফাইল চিত্র।
রাজ্যে ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে নিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের দোলাচল স্পষ্ট হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের জাতপাতের রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে তাঁকে ছাড়তে পারছে না দল। আবার তাঁকে সঙ্গে রাখলে ভোটারদের কাছে ভুল বার্তা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই দুই দিক সামলাতে, মাঝামাঝি একটা কৌশল নিচ্ছে দল। তা হল, টেনিকে একটু দূরে রাখা।
উত্তরপ্রদেশে ব্রাহ্মণদের কাছে পৌঁছনোর জন্য সম্প্রতি দিল্লিতে সভাপতি জে পি নড্ডার নেতৃত্বে একটি চার সদস্যের নির্বাচনী কমিটি তৈরি করেছে বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, টেনি তাতে নেই। অথচ তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার অন্যতম কারণই ছিল, ঠাকুর যোগী আদিত্যনাথের উপর নানা কারণে ক্ষুব্ধ উত্তরপ্রদেশের ব্রাহ্মণদের মন জয় করা। আপাতত ব্রাহ্মণ ভোটব্যাঙ্ককে কাছে টানার কোনও নির্বাচনী কর্মসূচিতেই তাঁকে রাখা হয়নি বলে সূত্রের খবর। বিভিন্ন জেলায় বিজেপির যে ‘বিশ্বাস যাত্রা’ চলছে তাতেও অনুপস্থিত টেনি। এর আগে উত্তরপ্রদেশের যে ৪০ জন সাংসদের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেখানেও ডাক পাননি তিনি।
লখিমপুর খেরি কাণ্ডে টেনি ও তাঁর ছেলে আশিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ক্রমে তীব্র হচ্ছে। টেনিকে বরখাস্ত করর দাবিতে উত্তাল হয়েছে সদ্য শেষ হওয়া সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। বিরোধীদের সম্মিলিত বক্তব্য, কৃষকদের হত্যা পূর্ব-পরিকল্পিত। সিট-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে তা প্রমাণিত। এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টেনি নিজেও। তাঁকে গ্রেফতার করা হোক। এই পরিস্থিতিতে টেনিকে নির্বাচনী প্রচারে যুক্ত করে বিতর্ক আর বাড়াতে চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্ব।