BJP

তথ্যচিত্রে চক্রান্ত দেখছে বিজেপি

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক অবশ্য ওই রিপোর্টে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ গতকালই খারিজ করে দিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:২৬
Share:

সম্প্রতি ব্রিটেনের সংবাদ সংস্থাটি তাদের একটি চ্যানেলে ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে। প্রতীকী ছবি।

বিবিসি-র তথ্যচিত্র ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে অস্বস্তি রয়েই গেল বিজেপির। দিন কয়েক আগেই, দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মুসলিমদের আস্থা অর্জনে দলীয় কর্মীদের এগিয়ে আসার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর ওই তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্কের পর সংবাদ সংস্থাটি আজ জানিয়েছে, যথেষ্ট গবেষণা করে ওই তথ্যচিত্র বানানো হয়েছে। তাই সরে আসার প্রশ্ন নেই। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক অবশ্য ওই রিপোর্টে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ গতকালই খারিজ করে দিয়েছিলেন।

Advertisement

সম্প্রতি ব্রিটেনের সংবাদ সংস্থাটি তাদের একটি চ্যানেলে ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে। দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন সাম্প্রদায়িক হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে সেই রাজ্যে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই তথ্যচিত্রে। ওই তথ্যচিত্র ভারতে দেখা না গেলেও বিশ্বের অন্যত্র এবং সামাজিক মাধ্যমে(অংশ বিশেষ) দেখা যাচ্ছে। যদিও ওই অশান্তিতে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও ভূমিকা ছিল না বলে গত বছর এই সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত রায়ে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সামনেই ন’রাজ্যে ভোট। তার ঠিক আগে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনে ‘পরিকল্পিত চক্রান্তের’ সম্ভাবনা দেখছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের মতে, বিধানসভা ভোটের পরে দেশে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। ঠিক তার আগেই কেন দু’দশক আগের ঘটনা এ ভাবে তুলে ধরে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। অন্য দিকে, তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের টুইট, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর সংখ্যালঘুদের প্রতি যে ঘৃণা, তা এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্র থেকেই স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।’’

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীর মতে, ঔপনিবেশিক মানসিকতার উপর ভিত্তি করে ওই তথ্যচিত্রটি বানানো হয়েছে। ওই তথ্যচিত্র একটি অপপ্রচার। আজ বিবিসি মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিস্তারিত গবেষণার ভিত্তিতেই ওই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন লোকের মতামত নেওয়া হয়েছে। বিজেপির লোকেরাও মতামত জানিয়েছেন। ভারত সরকারের মতামতও চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা এ বিষয়ে কথা বলতে চায়নি বলে বিবিসি দাবি করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement