জন্মদিনে দলীয় কার্যালয়ে মায়াবতী। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
জন্মদিনের সকালে কড়া ভাষায় বিজেপি-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ করলেন বহুজন সমাজপার্টির (বিএসপি) প্রধান মায়াবতী। বুধবার দলীয় কার্যালয় থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে মায়বতী বললেন, ‘‘বর্তমান শাসকদল কংগ্রেসের মতোই রাজনৈতিক সুবিধের জন্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।’’ অন্য দিকে, সংশোধিত নাগরিক আইন নিয়ে মায়াবতী চুপ, কংগ্রেসের এই অভিযোগকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন বিএসপি নেত্রী। তাঁর কথায়, মিথ্যে ছড়াচ্ছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ, এনআরসি এবং নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অগ্নিগর্ভ উত্তরপ্রদেশে কেন্দ্র-বিরোধী কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না বিএসপি। নানা মহলে জল্পনা, এতে মায়াবতীর উপরে দলের মুসলিম নেতা-কর্মীরাও বীতশ্রদ্ধ। সোমবার সনিয়া গাঁধীর ডাকা বিরোধীদের বৈঠকেও যাননি মায়াবতী। বলেছেন, ‘‘দল ভাঙাচ্ছে কংগ্রেস, তাই যাচ্ছি না।’’ তুলে এনেছেন কোটার শিশুমৃত্যু প্রসঙ্গ। এ দিন এনআরসি সিএএ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে মায়াবতী বলেন, ‘‘আমরাই প্রথম বিরোধিতা করেছি এই আইনের বিরুদ্ধে। তবে আমাদের বিরোধিতা ছিল শান্তিপূর্ণ। রাজনৈতিক সুবিধে আদায়ের জন্যে মিথ্যে বলা বন্ধ করুক কংগ্রেস।’’
এ দিন ৬৪ তে পা রাখলেন মায়াবতী। সকাল থেকে দলীয় সমর্থকদের ভিড় পার্টি অফিসে। সেখান থেকেই সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘গোটা দেশ দেখছে, বিজেপি ঠিক কংগ্রেসের মতোই ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। চলছে রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধে আদায় ও ব্যক্তিগত আখের গোছানো। এই কারণেই সাংবিধানিক সুযোগ সুবিধে থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ক্ষুণ্ণ হচ্ছে গণতান্ত্রিক অধিকার।’’
দেশের অর্থনীতির সঙ্কটের কথাও এ দিন উঠে আসে মায়াবতীর বক্তব্যে। শুভেচ্ছা জানাতে আসা সাংবাদিক, সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘গোটা দেশে দারিদ্র, অশিক্ষা বেকারত্ব বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে দেশের দুর্দশার কথা। ক্ষমতায় এলেই রাজনৈতিক দলগুলি দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা ভুলে যায়।’’