বিহারে ঐক্যের বার্তা বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার— ফাইল চিত্র।
বিহারের বিধানসভা ভোটে শরিকি-সম্পর্কে আঁচ আনতে নারাজ বিজেপি। রবিবার দলের সভাপতি জে পি নড্ডার মন্তব্যে স্পষ্টতই এই ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি বলেন, ‘‘জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) এবং লোক জনশক্তি পার্টির সঙ্গে জোট গড়েই আমরা বিহার বিধানসভা ভোটে লড়ব এবং জিতব। জোটের নেতৃত্ব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।’’ নড্ডা জানান, বিধানসভা ভোটে বিজেপির স্লোগান হবে, ‘বিজেপি হ্যায় তৈয়ার, আত্মনির্ভর বিহার’।
নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে আজ দলের রাজ্য কর্মসমিতির ভার্চুয়াল অধিবেশনে বক্তৃতা করেন বিজেপি সভাপতি। আসন ভাগাভাগি নিয়ে নীতীশের জেডিইউ-র সঙ্গে রামবিলাস পাসোয়ানের এলজেপি-র মতবিরোধ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। রামবিলাসের ছেলে তথা এলজেপি সাংসদ চিরাগ প্রকাশ্যে করোনা মোকাবিলা, বন্যাত্রাণ-সহ নানা বিষয়ে নীতীশ সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আজ নড্ডা বুঝিয়ে দিয়েছেন আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাজোটের মোকাবিলায় এনডিএ-ক শরিকি ঐক্য টিকিয়ে রাখতে মরিয়া বিজেপি।
আরও পড়ুন: ‘অব কি বার ট্রাম্প সরকার’, আমেরিকায় ভোট প্রচারে মোদীর ভিডিয়ো
রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে এনডিএ জোটের অন্দরে সাম্প্রতিক টানাপড়েনের মূল কারণ আসন ভাগাভাগি। বিহার বিধানসভায় মোট আসন ২৪৩টি। ২০১৫ সালের ভোটে লালু এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন নীতিশ কুমার। আরজেডি এবং জেডিইউ দু’দলই ১০১টি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। কংগ্রেস লড়েছিল ৪১টিতে। এবার বিজেপির কাছে আরও বেশি আসনে লড়তে চেয়েছেন নীতীশ। আর সেখানেই আপত্তি রামবিলাস পাসোয়ানের।
আরও পড়ুন: ভারতে বিনামূল্যে করোনা টিকা মিলতে আর ৭৩ দিন, জানাল প্রস্তুতকারী সংস্থা
তা ছাড়া, পাসোয়ান নিজেকে বিহারের একমাত্র দলিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। নীতীশ যে ভাবে প্রাক্তন দলিত মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝিকে এনডিএ-তে নিয়ে আসতে সক্রিয় হয়েছেন, তা-ও এলজেপি নেতৃত্বের নাপসন্দ। নড্ডা এদিন জানিয়েছেন, যে আসনে যে দলের জেতার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, সেখানে সেই দল প্রার্থী দেবে। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নেতা-কর্মীরা শুধু নিজেদের দলের প্রার্থী নয়, শরিকদের জেতাতেও প্রাণপণ চেষ্টা চালাবে।’’