গেরুয়া শিবিরের আক্রমণের মুখে রামলাল। —ফাইল চিত্র।
মেরুকরণের তাস খেলে নিজেদের গেরুয়া পরিবারকে এত দিন তাতিয়ে এসেছেন নেতারা। এ বারে তাঁরাই গেরুয়া শিবিরের নিশানায়।
আরএসএস থেকে বিজেপির সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলান রামলাল। সঙ্ঘ ও দলে তিনিই সমন্বয়ের সেতু। সেই রামলালেরই ভাইজি শ্রেয়ার সঙ্গে সম্প্রতি লখনউয়ে বিয়ে হয়ে গেল ফৈজান করিমের। সেই অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল থেকে শুরু করে কেন্দ্র ও রাজ্যের এক ঝাঁক মন্ত্রীও শামিল হয়েছিলেন। আর তার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে রামলালকে।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী আই পি সিংহ প্রকাশ্যেই বলছেন, ‘‘আমাদের দলের বড় নেতা গোটা দুনিয়া ঘুরে হিন্দুত্বের জ্ঞান দেন। ইসলামের বিপদের কথা শোনান। কিন্তু নিজেদের পরিবারের ছেলে-মেয়েদেরই সামলে রাখতে পারেন না। একে লাভ-জেহাদ বলা হবে না, কারণ এটি পরিবারের বিষয়।’’ বিজেপির এই নেতার মতে, তাঁর কথা কারও খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু তিনি বলবেনই। পাত্রের পরিবারে আবার কংগ্রেস যোগ রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের আরও কয়েক জন ছোট-মাঝারি নেতাও এই বিয়ে নিয়ে তোপ দাগছেন। ঝড় সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
এই ঘটনা দিল্লিতেও কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপিকে। তবে ঘরোয়া মহলে তাঁরা বলছেন, এটি সকলের ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রশ্ন। বিজেপির নেতা শাহনওয়াজ হুসেনের স্ত্রীও হিন্দু। কিন্তু দলে তিনিই সব থেকে কম বয়সে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। তবে মুখে এ কথা বললেও নেতারা বুঝছেন, এত দিন ‘উল্টো’ কথা বলেই তাতানো হয়েছে দলকে। ফলে এখন পাল্টা চাপ হজম করতেই হবে।