বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর হিমাচলের প্রাক্তন ছয় কংগ্রেস বিধায়ক। —ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী বৈতরণী পেরোতে প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়কদের উপরেই আস্থা রাখল বিজেপি। হিমাচল প্রদেশে ছয় কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনে দলত্যাগী ছ’জনকে প্রার্থী করছে তারা। ওই ছ’জনের বিধায়ক পদ খারিজ হওয়ার জেরেই উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। গত শনিবার বরখাস্ত হওয়া ওই ছয় বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন। ওই দিনই পদ্মশিবিরে যোগ দেন হিমাচলের তিন নির্দল বিধায়কও।
দলীয় হুইপ অমান্য করে হিমাচল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর সরকারের বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের পক্ষে ভোট না-দেওয়ার কারণে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে’ হিমাচল বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিংহ পঠানিয়া কংগ্রেসের বিদ্রোহী ছ’জন বিধায়কের পদ খারিজ করেছিলেন। তার আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা ভোটের সময় ওই ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজনের সমর্থনে ‘ক্রস ভোটিং’ করেছিলেন। তাঁদের সঙ্গেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন ‘সুখু সরকারের সমর্থক’ তিন নির্দলও। ক্রস ভোটিংয়ের ফলে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি হেরে যান। ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় দু’পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়।
বরখাস্ত ছ’জন কংগ্রেস বিধায়কের তরফে হিমাচল বিধানসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছিল। শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশের পরেই গত ১৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন জানায়, আগামী ১ জুন হিমাচলের চারটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের সঙ্গেই ওই ছ’টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। ওই বরখাস্ত ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক হলেন রবি ঠাকুর (লাহুল-স্পিতি), রাজেন্দ্র রানা (সুজনপুর), সুধীর শর্মা (ধরমশালা), ইন্দ্রদত্ত লক্ষণপাল (বারসার), চৈতন্য শর্মা (গগরেট), দেবেন্দ্র ভুট্টো (কুটলেহা)।
ঘটনাচক্রে, ওই বিধায়কদের অধিকাংশই পদত্যাগী মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিংহ এবং তাঁর মা তথা হিমাচল কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রতিভা সিংহের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত।