Union Budget 2022-23

Union Budget 2022-23: বাজেট-প্রচারে বিজেপি, পাল্টা তোপ সিপিএমের

অতিমারির ধাক্কায় বিপর্যস্ত সাধারণ, গরিব মানুষের জন্য বাজেটে সুরাহার দিশা না থাকার অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় বাজেটের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সিপিএম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:০২
Share:

পর্দায় চোখ: তখন বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মঙ্গলবার শহরে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

কেন্দ্রীয় বাজেটকে হাতিয়ার করে রাজ্যে রাজ্যে প্রচারে নামছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গ-সহ সব রাজ্যের দলীয় নেতৃত্বকে মঙ্গলবারই নির্দেশিকা পাঠিয়ে বাজেট-প্রচারের কৌশল বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রত্যাশিত ভাবেই নির্মলা সীতারামনের বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করেছে রাজ্য বিজেপি। অন্য দিকে, অতিমারির ধাক্কায় বিপর্যস্ত সাধারণ, গরিব মানুষের জন্য বাজেটে কোনও সুরাহার দিশা না থাকার অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় বাজেটের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সিপিএম।

Advertisement

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে বাজেট নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জেলা স্তর পর্যন্ত বিদ্বজ্জন, চেম্বার অফ কমার্স-সহ শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের নিয়ে বাজেট সংক্রান্ত আলোচনাসভা করতে হবে। সব সাংসদকে ৫,৬ এবং ১২, ১৩ ফেব্রুয়ারি নিজেদের কেন্দ্রে সাংবাদিক সম্মেলনে বাজেট প্রচার করতে হবে। পাশাপাশি, জেলা থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত বাজেটের ‘জনমুখী’ দিকগুলি প্রচার করতে হবে ভিডিয়ো বৈঠকের মাধ্যমে। দল এবং সব ক’টি মোর্চাকে এই কাজে লাগাতে হবে।

রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এ দিন দাবি করেছেন, ‘‘এই বাজেট বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ গড়ার দিশারী। ভিক্ষা বা অনুদান নির্ভর জাতি তৈরি না করে কর্মসংস্থান তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে বাজেটে।’’ শমীকের মতে, করোনার মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিপুল ব্যয় হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পোদ্যোগ চরম হতাশার সম্মুখীন। এই রকম সময়ে যে বাজেট করা হয়েছে, সেখানে সস্তার চমক নেই, আগামী নির্বাচনের কোনও রাজনীতি নেই। বাজেট করা হয়েছে ভবিষ্যৎ গড়ার দিকে লক্ষ্য রেখে।

Advertisement

সিপিএম অবশ্য বাজেটকে পাল্টা ‘জনবিরোধী’ আখ্যা দিয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য, ‘‘এই বাজেট কাদের জন্য? দেশের ১০% ধনী অংশের হাতেই ৭৫% সম্পদ এখন কেন্দ্রীভূত। নীচের দিকে থাকা ৬০%- এর কাছে ৫%-ও নেই। অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে কর্মহীনতা, দারিদ্র, ক্ষুধা বেড়েছে। তার মধ্যে যারা প্রভূত মুনাফা সঞ্চয় করেছে, সেই অংশের উপরে কর বাড়ানো যেত।’’ কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বছরে দু’কোটি কর্মসংস্থানের কথা বলেছিলেন। আর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বাজেটে বলছেন ৬০ লক্ষ কর্মসংস্থানের কথা!’’ একশো দিনের প্রকল্পে ব্যয় কমে যাওয়া, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় না বাড়ানো, রাজ্য থেকে নানা খাতে রাজস্ব তুলে নিলেও তাদের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল না দেওয়ার সমালোচনাও করেছে সিপিএম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement