—প্রতীকী ছবি।
সামনেই রাজস্থান ও তেলঙ্গনায় ভোট। তার ঠিক আগে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গতকাল গান্ধী পরিবারের নামের সঙ্গে জড়িত কিছু সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করতেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত প্রসঙ্গে দলের নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “গান্ধী পরিবারের অন্যায়ের কারণেই আজ কংগ্রেসের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাঁরা নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়েছেন।” পাল্টা আক্রমণে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জ্জুন খড়্গে বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে ব্রিটিশ শাসকেরাই দমাতে পারেনি, বিজেপি কী ভাবে পারবে!’’
গতকাল ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেসের ৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তি হাতে নিয়েছে ইডি। যার মধ্যে বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে গান্ধী পরিবারের নামে। আজ সকালে দলীয় দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘গান্ধী পরিবার কেবল দলের উত্তরাধিকারই নয়, দলের নামে থাকা সব সম্পত্তিও নিজেদের উত্তরাধিকার বলে মনে করে।’’ তিনি অভিযোগ করেন, সমস্ত নিয়মকে উপেক্ষা করে ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রায় ৯৯ শতাংশ শেয়ার রাহুল ও সনিয়া গান্ধীর নামে করে দেওয়া হয়। হস্তান্তরের সময়ে অন্য শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেনি কংগ্রেস। রবিশঙ্করের কথায়, ‘‘গান্ধী পরিবার স্বাধীনতার লড়াই লড়েছে। যার ভিত্তিতে গান্ধী পরিবার দলের নিজেদের রাজত্ব কায়েম করে। কংগ্রেসকে এখন গান্ধী পরিবারের পাপের জন্য ভুগতে হচ্ছে।’’
ভোটের আগে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা নিয়ে ইডির ওই তৎপরতাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। আজ তেলঙ্গনায় নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, ‘‘যুব সমাজকে জাগ্রত করতে স্বাধীনতার আগে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র চালু করেছিলেন জওহরলাল নেহরু। বিজেপি সেই কাগজ বন্ধ করার বিষয়ে ভেবেছিল। এদের (বিজেপির) আজাদির লড়াইয়ে অংশগ্রহণের ইতিহাস নেই, এরা গরিবের জন্য কিছু করে না, এদের ভয় পাওয়ার কী আছে!’’