পুরীর মন্দির। ফাইল চিত্র।
পুরীর মন্দিরের রত্নভান্ডারের চাবি হারানো নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে পৌঁছল ওড়িশায়। বিজেপি এবং কংগ্রেস দু’পক্ষেরই দাবি, এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে তৈরি সংশ্লিষ্ট আইন কমিশনের রিপোর্ট তাড়াতাড়ি প্রকাশ্যে আনতে হবে রাজ্যের বিজু জনতা দল সরকারকে। পাশাপাশি দ্রুত রত্নভান্ডারটি খুলে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে তারা।
আদালতের নির্দেশে রত্নভান্ডারের চাবি হারাল কী করে তা খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয়েছিল বিচারপতি রঘুবীর দাস কমিশন। সেই কমিশনের রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি কেন, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। যার ভিত্তিতে আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে এই নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের জবাব তলব করেছে আদালত।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র পিতাম্বর আচার্যের মন্তব্য, ‘‘গত ২০১৮ সালের নভেম্বরেই ওই কমিশন রাজ্য সরকারের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়ে দিয়েছে, প্রায় পাঁচ বছর হয়ে গেল। তবে সরকার তার ভিত্তিতে এখনও কোনও পদক্ষেপ করে উঠতে পারেনি।’’ কংগ্রেস নেতা বিজয় পট্টনায়কের মন্তব্য, রাজ্য সরকার যদি স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী হয় তা হলে তাদের উচিত আর দেরি না করে ওই রিপোর্ট তাড়াতাড়ি প্রকাশ্যে আনা।
যদিও বিরোধীদের এই দাবিতে একেবারেই আমল দিতে নারাজ শাসক দল বিজু জনতা দল (বিজেডি)। এক বিবৃতিতে বিজেডি জানিয়েছে, ১৯৮৫ সাল থেকে রত্নভান্ডার বন্ধ রয়েছে। আজ প্রায় ৩৮ বছর হয়ে গেল। এখন এ ভাবে প্রভু জগন্নাথের নামে রাজনীতি করা থেকে দূরে থাকা উচিত বিরোধীদের।